ঘাটের এই পারে বসে আছি ঐ পারে যাওয়ার অপেক্ষা।
সবাইকে পবিত্র ঈদ আর শারদীয় দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা। সবার আনন্দদায়ক এবং নিরাপদ জীবন কামনা করছি।
এই শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পর-
এলাকার চেয়ারম্যান-ছেলেটার মতলব খারাপ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোর ও কে? ভাব দেখেতো মনে হচ্ছে সামনে নির্বাচন করার কোনো গোপন ইচ্ছা আছে।
ঐ পোলাপান চোখ কান খুলা রাখিস। বেশী বাড়াবাড়ি করলে কিন্তু সাইজ করে দিতে হবে।
নতুন জননেতা, ভবিষ্যতে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকঃ খুব সুন্দর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভাই। নতুন প্রজন্মকেতো এভাবেই শুভেচ্ছা জানাতে হবে। সবার জীবন আনন্দদায়ক হওয়ার জন্য জনসেবার মহৎ কাজে এসেছি।
আশাকরি সাথে পাবো। সালাম আর শুভেচ্ছ ভাই।
কট্টর হিন্দু ভাইয়েরাঃ সংখ্যালঘু হয়ে থাকার এই সমস্যা। তাই আগে পবিত্র ঈদ আর পরে শারদীয় দূর্গাপুজার শুভেচ্ছা। কেন পবিত্র শারদীয় দূর্গাপূজা আগে আর পরে ঈদের শুভেচ্ছা বললে সমস্যা কি ছিলো?
কট্টর মুসলমানঃ ভাই দিলেনতো গন্ডগোল লাগিয়ে।
মুসলমানদের পবিত্র ঈদ আর পুজাকে দেখি জোড়গাঁথা করে ফেললেন। পবিত্র ঈদের সাথে দূর্গাপূজার শুভেচ্ছা একসাথে জানাতে হবে কেন?
তাবলীগের হুজুরঃ শুভেচ্ছা জানাবেন ঠিক আছে। কিন্তু বিসমিল্লাহ বলে শুরু করাটা কি দরকার ছিলোনা?
প্রেমিকাঃ ও বুঝেছি। আমাকেও শুভেচ্ছা আবার অন্য সবাইকেও শুভেচ্ছা। আর এই সবাই'র ভিতরে গোপনে গোপনে আর কাকে কাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছো বলো দেখি।
সত্যি সত্যি বলবা, না হলে কিন্তু সম্পর্কের লালবাতি।
হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কর্মীঃ পবিত্র ঈদ আর দূর্গাপূজা। বাহঃ । শুধু ঈদটাই পবিত্র। আর অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পবিত্র না?
সচেতন নাগরিক একঃ হাহাহা।
হাসতে হাসতে শেষ। তাবলীগের হুজুর, এলাকার চেয়ারম্যান ও আজকা ফেসবুক ব্যবহার করে নাকি? ঠেকায় পড়েছে ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে ওনাদের আজাইরা আলাপ করার। যতসব অবাস্তব চিন্তাভাবনা।
পরিবেশবাদীঃ আহারে! কতগুলো পশু কোরবান হয়ে যাবে। পুরো পৃথিবীটা অসভ্য হয়ে গেলো।
এতগুলো পশু নির্বিচারে জবাই করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো চিন্তা নাই। তারওপর আবার শুভেচ্ছা।
আওয়ামীলীগ কর্মীঃ নিরাপদ জীবন কামনা করছি। এর মানে কি? ভাব দেখেতো মনে হচ্ছে দেশে যেন জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই।
এই সরকারের আমলে দেশের মানুষ যে ভাবে নিরাপদ জীবন যাপন করছে- তা এর আগে কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারে নাই।
বিএনপি কর্মীঃ একজন সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারী যখন, নিরাপদ জীবন কামনা করে তখনই বুঝতে হবে-দেশের অবস্থা কী ভয়াবহ। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। ঈদের পরপরই প্রবল গণআন্দোলন শুরু হবে।
সাহিত্যিকঃ অযথা দুটো লাইন করা হয়েছে।
এক লাইনেই আরো সুন্দর করে জিনিসটা বলা যেতো। আর কামনা করছি না বলে প্রত্যাশা করছি -লিখলে আরো দৃষ্টিনন্দন হতো। এখন কি শরৎকাল নাকি যে, শারদীয় দূর্গাপূজা বলতে হবে?
দেশে থাকা বন্ধুঃ দোস্ত ভালোইতো ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বেড়াও। কিন্ত বাস্তব লাইফে একবার হ্যালো বলার টাইম পাইলানা। তোমরা যা শুরু করছো না।
সচেতন নাগরিক ২য়ঃ এভাবে আজাইরা ফেসবুকে বসে থাকলে-মাথা থেকে এরকম গোবরমিশ্রিত শুভেচ্ছাই বের হবে। এই লেখার না আছে আগা, না আছে মাথা।
তরুন বিপ্লবীঃ ভাই,এভাবে ঘরে বসে সবাইকে কোটি কোটি শুভেচ্ছা জানালে মানুষের জীবন কোনোদিন নিরাপদও হবেনা, আবার আনন্দদায়কও হবেনা। সম্পদের সুষম বন্টন নাই। সরকার মৌলিক চাহিদার যেখানে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি, সেখানে আবার আনন্দ।
গরীব দিন দিন গরীব হচ্ছে। ৪% লোক পৃথিবীর ৮৯% শতাংশ সম্পদের মালিক। আপনি যদি মানুষের জীবনের সত্যিকারের আনন্দ চান। তাহলে রাজপথে লালপতাকার নীচে জুথবদ্ধ হোন।
অফিসের বসঃ তোমার শুভেচ্ছা জানানোর মজা দেখাচ্ছি।
কালকে অফিসে আসো। কাজ ফাঁকি দিয়ে ফেসবুকে বসে থাকলে হিসাবের গরমিলতো হবেই।
নেতিবাচক ব্লগারঃ ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে এর চেয়ে ভালো কোনো পোস্ট আশাকরাই বৃথা। মাইনাস দিলাম।
শফিহুজুরঃ শুভেচ্ছাও একরকম তেতুলের মতো।
তেঁতুল দেখলে যেমন খেতে ইচ্ছে করে। ঠিক তেমনি কেউ শুভেচ্ছা জানালে, অন্যকেও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ইচ্ছে জাগে। প্রথমে শুভেচ্ছা চালাচালি-তারপর খোশালাপ। এরপর খোশালাপ থেকে কতকিছু হয়ে যেতে পারে। তাই পুরুষে নারীতে আর নারী পুরুষকে শুভেচ্ছা না জানানোই ভালো।
সাংবাদিকঃ দেশটা আইয়ামে জাহেলিয়ার অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে গেলো। শফিহুজুরদের কী মাথার ঠিক আছে। সামান্য শুভেচ্ছার মাঝেও ওরা তেঁতুলের রস খুঁজে পায়।
তসলিমা নাসরিনঃ শফি হুজুর একটা সত্যি কথা বলেছেন। যে কথা এর আগে কেউ বলতে পারেনি।
এই শুভেচ্ছা জানানো আসলে অবলা নারী পটানোর দান্ধা। শফি হুজুরকে ধন্যবাদ।
সরকারী আইন বাস্তবায়নকারী সংস্থাঃ অনলাইন ব্যবহার করে অতি সুক্ষণ ভাবে শুভেচ্ছার আড়ালে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটা তথ্য প্রযুক্তি আইনের সুস্পষ্ট লংগন।
সচেতন ব্লগারঃ এসব আইডিয়া দিয়ে অনেক লিখা আগেই হয়েছে।
পারলে নতুন কিছু লিখেন। অযথা প্রথম পাতা দখল করার দরকারটা কি ছিলো?
কঠোর সমালোচকঃ ধুর! আজাইরা একটা লিখা পড়ে বেহুদা সময় নষ্ট করলাম।
মাঃ আহারে ! কতদূরে থেকেও শুভেচ্ছা জানায়। বারবার, বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। ঈদের দিন কী খাবে না খাবে-কোনো ঠিক নাই।
আমি পাশে না বসলেতো খাবারই খেতোনা। এসব ভাবতে ভাবতে মায়ের চোখ দিয়ে গোপনে পানি পড়বে। কিন্তু মা এই গোপন অশ্রু কাউকে বুঝতে দিবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।