শচীন টেন্ডুলকারের যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, মহেন্দ্র সিং ধোনি তখন মাত্রই দুই বছরের শিশু। ধোনি বেড়ে উঠেছেন, একই সঙ্গে টেন্ডুলকার একটু একটু করে খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছেছেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ধোনির বয়সী ক্রিকেটারদের কাছে টেন্ডুলকার নামটি দেবতার মতো। একসময় সেই দেবতার সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে থাকার সৌভাগ্য হয়েছে ধোনির। শুধু তা-ই নয়, ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সফলতম ব্যাটসম্যানটির অধিনায়ক হিসেবে খেলার সৌভাগ্যও হয়েছে।
টেন্ডুলকারকে আজন্ম আরাধ্য বিশ্বকাপ, যে ট্রফি না পেলে অপূর্ণই থেকে যেত তাঁর ক্যারিয়ার, এনে দিয়েছে ধোনির নেতৃত্বই।
সেই টেন্ডুলকারের বিদায়লগ্নে বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন ধোনি, ‘তাঁর ক্যারিয়ার কতই না বর্ণাঢ্য! নিজের ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ধরেই তিনি সেরা হয়েই ছিলেন। ২৩ বছরের মতো নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা! আপনি যখন এতটা সময় ধরে আপনার দলের সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে থাকবেন, সব সময়ই আপনাকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হবে। যখন আপনি রান করবেন তখন, যখন করবেন না তখনো। ’
লিটল মাস্টার যে তাঁর কাঁধে দুই যুগ ধরে ভারতীয় ক্রিকেটের ভার বয়েছেন, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ধোনি, ‘কোটি কোটি ভারতীয়র সেই প্রত্যাশার চাপ বয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।
কখনো কখনো ভারতীয় সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকে খুবই উঁচু। সেই চাপ সামলে তাঁর মতো করে খেলে যাওয়া অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার। ’
টেন্ডুলকারের ২০০তম টেস্টেই শেষ ঘোষণা দেওয়াটা খানিকটা চমক ছিল। কারণ এ ধরনের গুঞ্জন তিনি নিজেই উড়িয়ে দিয়েছেন বারবার। বিদায় ঘোষণার মাত্র কদিন আগেও বলেছেন, ২০০তম টেস্টেই বিদায় নেওয়ার পরিকল্পনা তাঁর নেই।
তবে ধোনি দাবি করলেন, বিদায় যে আসন্ন সেটা তিনি জানতেন।
ভারতে এমনিতে টেস্ট ম্যাচের দর্শক মাঠে খুব বেশি হয় না। তবে টেন্ডুলকারের বিদায়ী ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়াম ভেঙে লোক আসবে বলেই ধোনির অনুমান। তবে ধোনি চান শুধু শেষ টেস্টেই নয়, দর্শকে ভরে যাক প্রথম ম্যাচও। টেন্ডুলকারের বিদায় সংবর্ধনায় এতটুকু শূন্যতা রাখতে চান না ভারতীয় অধিনায়ক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।