প্রতীক্ষার অবসান। মাঠে গড়িয়েছে শচীন টেন্ডুলকারের বিদায়ী টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। টেন্ডুলকার ৫৬ ও চেতেশ্বর পুজারা ৪০ রান নিয়ে নিয়ে অপরাজিত আছেন। গতকাল প্রথম দিনের খেলা শেষে ৩৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন লিটল মাস্টার। বিদায়ী টেস্টের মানসিক চাপ উপেক্ষা করে আজও স্বাভাবিক ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেট মহানায়ক।
টেন্ডুলকার নিজের ৬৮তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে।
প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে এরই মধ্যে ২ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ফেলেছে ভারত। মুম্বাই টেস্টের যা অবস্থা, দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং করতে না-ও হতে পারে ভারতীয় দলের। সে ক্ষেত্রে আজই ইতি ঘটবে টেন্ডুলকারের দুই যুগের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের।
কাকতালভাবে ২৪ বছর আগে ঠিক এই দিনেই (১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়েছিল তাঁর। টেস্ট ক্যাপ পরেছিলেন টেন্ডুলকার।
গতকাল ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে লিটল মাস্টার যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, গ্যালারি থেকে আসছিল একটাই গর্জন—‘শচীন...শচীন...শচীন...’!!! সেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়ার পরও দর্শকদের কাছ থেকে এতটা উচ্ছ্বাস, এতটা ভালোবাসা খুব কম ব্যাটসম্যানের ভাগ্যেই জোটে। টেন্ডুলকার নিজেও ব্যাট তুলে ধরলেন। ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার সময় ব্যাট তোলাও বোধ হয় এই প্রথম।
আজ দ্বিতীয় দিনে টেন্ডুলকার যখন মাঠে নামলেন, দর্শকেরা একইভাবে চিত্কার করে প্রিয় তারকাকে স্বাগত জানান। টেন্ডুলকার একেকটা স্ট্রোক খেলছিলেন আর গর্জন করে উঠছিলেন দর্শকেরা। রান হওয়া না-হওয়া এখানে মুখ্য নয়। টেন্ডুলকার বিদায়ী টেস্টে ব্যাট করছেন, প্রতিটি বলই তো উদযাপনের!
ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, গলফসহ যেকোনো খেলার আপডেট ও খবর পেতে আপনার মোবাইল থেকে S লিখে এসএমএস করুন ২২২১ নম্বরে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।