ঈদ একেবারে দোরগোড়ায়। আমরা ঈদের দিনে সেমাই, পায়েস ও নানা মিষ্টান্নের পোলাও, কাবাব, মাংসের তৈরি খাবারদাবার প্রচুর খেয়ে থাকি। বিশেষ করে এই ঈদে গরু ও খাসির মাংসের তৈরি খাবার খাওয়া হবে প্রচুর। কিন্তু ওজনাধিক্য, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগী এবং কোলেস্টেরল বেশি এমন ব্যক্তিদের জানা উচিত কীভাবে খাবারে তেল-চর্বি ও অতিরিক্ত ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।
প্রথমেই আসুন তেলের ব্যবহার নিয়ে কথা বলি।
যতটা সম্ভব অসম্পৃক্ত উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করুন রান্নায়। ঘিয়ের ব্যবহার বাদই দিয়ে দিন একেবারে। ঘ্রাণটুকু রাখতে একেবারে শেষে সামান্য একটুখানি ঘি ওপরে ছড়িয়ে দিতে পারেন। ঘিয়ে ভাজা পরোটার চিন্তা বাদ দিন, সেঁকা পরোটা মেনে নিন। ওটাও খেতে মন্দ নয়।
ডুবো তেলে কাবাব বা অন্যান্য জিনিস না ভেজে তেল দিয়ে ব্রাশ করে কাবাব সেঁকে নিতে পারেন। অন্য রকম স্বাদও হবে, তেলের পরিমাণও কমিয়ে আনা যাবে। ঝলসানো কাবাব বা মাংসের ক্ষেত্রে চুইয়ে পড়া তেল বারবার ফেলে দিতে থাকুন এবং বাড়তি তেল আর ব্যবহার করবেন না।
অনেকক্ষণ রান্না ও ভাজার পর খাবারে তেলটা আরও বেশি ঢোকে। তাই রান্নার সময়টুকু কমিয়ে আনতে মাংস বেশি সময় ধরে মেরিনেট করুন।
মেরিনেট করার সময় টক দই, লেবুর রস, সিরকা ইত্যাদি ব্যবহার করুন, এগুলো কোলেস্টেরল শোষণেও সাহায্য করবে।
—দৃশ্যমান চর্বির সবটুকুই কেটে বাদ দিন। রান্নার আগে মাংস খানিকটা সেদ্ধ করে ওপরে ভাসমান চর্বি ফেলে দিতে পারেন। এ ছাড়া রান্নার পর ওপরে যে ভাসমান তেলের বা চর্বির স্তর সৃষ্টি হয় সেটুকু ফেলে দিলেও ভালো।
—মিষ্টান্নে দুধ ও ফলের ব্যবহার বাড়াতে পারেন।
চিনির ব্যবহার কমাতে নাশতায় নোনতা, ঝাল ইত্যাদি বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার রাখুন। বাড়ির ডায়াবেটিক সদস্যটির জন্য কৃত্রিম চিনি দিয়ে খাবার তৈরি করতে পারেন।
—একসঙ্গে মাংসের তৈরি খাবার অনেক খাবেন না। খাবারের তালিকায় আঁশ, ফলমূল, শাকসবজি বা বীজজাতীয় উপাদান না থাকলে হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই ঈদের খাবারের তালিকায় ফলমূলের সালাদ, কাস্টার্ড, তাজা সবজি সেদ্ধ, শসা-টমেটোর সালাদ ইত্যাদি অবশ্যই থাকবে।
—কোমল পানীয়র বদলে অতিথি আপ্যায়নে ফলের রস, বাড়িতে তৈরি জুস, বোরহানি বা লেবুর শরবত ব্যবহার করতে পারেন।
প্রধান পুষ্টিবিদ, ইউনাইটেড হাসপাতাল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।