আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চোখের জলে নয়, হাসিমুখে দেবীকে বিদায়

দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের যাত্রায় আজ সোমবার বিকেলবেলা রাজধানী ঢাকা হয়ে ওঠে এক আনন্দনগর। বর্ণিল রঙে মেতে ওঠে রাজপথ। ঢাকের তালে তালে নেচে-গেয়ে প্রায় অর্ধশত ট্রাকের শোভাযাত্রায় বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজঘাটের দিকে রওনা দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজারো মানুষ।

বিকেল চারটায় লালবাগের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে শুরু হওয়া প্রতিমা বিসর্জনের এই শোভাযাত্রায় ছিল তারুণ্যের উচ্ছলতা, শিশুদের উল্লাস। ছিল সামনের সারিতে নেতৃত্বে থাকা মান্যবর শৃঙ্খলাবদ্ধ পদক্ষেপ।

সঙ্গে ছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে র্যাব-পুলিশের সতর্ক প্রহরা। ওই সময় পুরান ঢাকার গন্তব্য পথের দুই পাশে দাঁড়ানো অগণিত মানুষ পলকহীন দৃষ্টি নিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছিল শোভাযাত্রাকে।

দেবী দুর্গাকে বিদায়ের বেদনা এই আনন্দের ধারায় যেন ধুয়ে-মুছে গেছে। দূর হয়ে গেছে সব কষ্ট। হাজারো নর-নারী হেঁটে হেঁটে সে কথাই বারবার বলছিলেন উচ্চ স্বরে।

লালবাগের সীমা দাসও হাসিমুখে সে কথা জানালেন। সঙ্গে থাকা ছয় বছরের মেয়ে দিয়া দাসকে নিয়ে শোভাযাত্রায় ছিলেন সীমা। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনে আবার কষ্ট কিসের! কোনো কষ্ট নেই। লালবাগের বাসা থেকে বেরিয়েছি আজ সকালে। দেখছেন না আমার মেয়েরও কষ্ট হচ্ছে না।

’ 

সবে একুশ পেরোনো আরেক তরুণী সোমা রায় বললেন, ‘এবার তো মা দুই হাত ভরে অনেক দিয়েছেন। ’

শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের অনেকে বলেন, এবার দোলায় চড়ে স্বর্গ থেকে এসেছেন দুর্গা। আর গজে চড়ে ফিরে যাচ্ছেন। দেবীর এমন আগমনে পৃথিবী শস্যে ভরে যাবে এবার।

মহানগর পূজা কমিটির সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বপন কুমার দাস জানান,  কেবল রাজধানী ঢাকায় নয়, সারা দেশে অন্যবারের চেয়ে বেশি আনন্দময় পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে এবারের দুর্গাপূজা।

তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের চেয়ে এবার এক হাজারের বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়েছে। ২০১২ সালে ২৭ হাজার, এবার উদযাপিত হয়েছে ২৮ হাজার মণ্ডপে।

সকালবেলা পূজা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমা বিসর্জনের কোনো সমস্যা হয়নি। আজ দিনের আলো থাকতে থাকতেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মহানগর পূজা কমিটির নেতারা। তা ছাড়া এক দিন পর কোরবানির ঈদ, সে কারণে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পারে সে জন্যও শোভাযাত্রা একটু আগে শুরু হয়েছে।

এদিকে শোভাযাত্রার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়নি—এমন মন্তব্য করে যুগ্ম ট্রাফিক কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ‘পূজা ও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে নগরে গত কয়েক দিন ট্রাফিকব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কোরবানির হাটের মতো পূজামণ্ডপগুলোয় ট্রাফিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ’ 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.