এইটা আমার ব্লগ।
১. জাতির জীবনে একটা গভীর সমস্যা সমাধানে দেশের সর্বোচ্চ দুই জন ব্যক্তির অত্যন্ত কনফিডনশিয়াল এই আলাপ কে রাজনইতিক সুবিধা নেয়ার জন্যে, অনুমতি না নিয়ে গৃহপালিত মেডিয়া দিয়ে প্রকাশ করে আওয়ামী লিগ এর শীর্ষ নেতৃত্বে কয় একটা জিনিষ প্রমান করেছে
ক. তাদের মধ্যে বেসিক ডিসেন্সি এবং নৈতিকতা নাই | অতটুকু না থাকলে মানুষ মানুষ থাকেনা | এতটুকু নৈতিকতা না থাকলে, এই মানুষ যে একটা ইতর প্রাণীতে পরিনত হয় তা বোঝার মত নৈতিক শক্তি আওয়ামী লিগ এর আর নেই |
খ. আওয়ামী লিগ জানে, এই আলাপ টা প্রকাশ পেলে, তারা রাজনৈতিক সুবিধা পাবে কিন্তু সমঝোতার পথের সকল ব্রিজ ভেঙ্গে দিবে এবং তারা আনন্দের সাথে এই কাজটা করছে |
গ. শেখ হাসিনা জানত, এই আলাপ টা প্রকাশ করা হবে | এবং সেই হিসেবে শেখ হাসিনা স্ট্রেটেজিক রোল নিছে |
২. খালেদা জিয়া অত্যন্ত ইনডিসেন্ট ভাবে কথা বলছে | আমরা জানতাম শেখ হাসিনা ঝগড়াটে এখন জানলাম উনিও কম না | আমি মনে করিনা শেখ হাসিনা কনটিনিয়াসলি উস্কানি দিছে বরং আমি মনে করছি শেখ হাসিনা প্রথমে উস্কানি দিলেও পরে কুল ডাউন করার চেষ্টা করছে কিন্তু খালেদা জিয়াই বরং কনস্টেনটলি এগ্রেসিভলি কথা বলছিল | এই সংলাপের মাধ্যমে খালেদা জিয়া উনার বিগত ৩০ বছরে তৈরী করা একটা কাপিটাল হারাইল | অনেক বলতে পারেন, যে শেখ হাসিনা জানত এই সংলাপ প্রকাশ করা হবে | কিন্ত, সেইটা কোন এক্সকিউজ না | এমন টোন, এমন বডি লাঙ্গুয়েজ ককন নেতার জন্যে শোভনীয় নয় | পিরিয়ড |
৩. কাম অন | লাস্ট মোমেন্টে কেন ফোন করছে আর আগে কেন করে নাই এইটা কোন এক্সকিউজ হইলো ? সংলাপ এর দাবি দিছেন এখন সংলাপ এর দাবি এক্সেপ্ট করছে এখন যাবেন কথা বলবেন | উনাদের একটা হ্যা বলাতে জাতির জীবন থেকে ১৬ কোটি মানুষের প্রাণ, অস্তিত্ব, ব্যবসা ৩ দিনের জন্যে সস্তি ফিরে পায় আর সেইটা জাস্ট অভিমান হইলো বলে আপনি কনসিডার করলেন না –এইটা কোন নেতার লক্ষন না |
৪. ক্লিয়ারলি খালেদা জিয়ার চাবি অন্য কারো কাছে | আমি মনে করিনা, শেখ হাসিনা বলছে বলেই হরতাল প্রত্যাহার করতে হবে | পলিটিকালি ক্ষতিকর হওয়ার পরেও বিএনপির লেথার্জি বলে দেয় কেউ এক জন অনুমতি না দিলে এই হরতাল বিএনপি প্রত্যাহার করতে পারেনা |
৫. এইচ টি ইমাম অত্যন্ত নিকৃষ্ট একটা বিক্রতি করতে খালেদা জিয়ার মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে একটা প্রপাগান্ডা চালিয়েছিল | এই প্রপাগান্ডাটা দেশের রাজনীতির জন্যে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হতে পারতো এই প্রপাগান্ডা টা ফুল আওয়ামী মেশিনারি রেডিওর মত বাজায় গেছে | কিন্তু যখন এইটা মিথ্যা প্রমান হইছে তখন তারা ক্ষমা চাওয়ার মত কোন চেষ্টা করে নাই | এর থেকে প্রমান হয় আমদের মেডিয়া এখন হলুদ না , কুচকুচে কালো হয়ে গন্ধ বেরোচ্ছে |
৬. অনেকে ডাউট দিচ্ছেন যে , এইটা আওয়ামী লিগ না বিএন পি প্রকাশ করছে | এখন তথ্য প্রযুক্তি আইন বলে একটা আইন আছে | এই আমলে আওয়ামী লিগ এর সর্বোচ্চ নেতৃত্বের গ্রিন সিগনাল না থাকলে, দেশের সর্বোচ্চ দুইটা মাথার আলাপ মেডিয়াতে এই ভাবে আসেনা| যদি সেইটা হইতো তাইলে আজকে দিনের মধ্যেই চার পাচ জন এর ডিম থেরাপি হইতো | আর ৭১ এ প্রকাশ এবং আজকে তথ্য মন্ত্রীর সাপোর্ট টাই বলে | কিছু জিনিস বুঝতে আইনস্টাইন হইতে হয় না , একটু বিবেক থাকলেই হয় |
৭ . সংলাপ শেষে দুই দল এর দলীয় সমর্থকদের রেসপন্স বোঝা গ্যেছে তারা কিছু শেখেনি| যার অবস্থান যেই খানে ছিল তারা সেইখানেই আছে | যুক্তি বিসর্জন দিয়ে মানুষ যখন আদর্শ দিয়া দল কে সাপোর্ট করে তখন নেতা নেত্রীর কোন ভুল আর চোখে পরেনা |
৮. আল্লা ?? এরা আমাদের নেতা ?? এরা আমদের ভাগ্য বিধাতা ? আমরা জাতি হিসাবে কি পাপ করছিলাম ?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।