আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবন এতো ছোট ক্যানে!

দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...

তাঁর সাথে শেষ দেখা হয়ে ছিল ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারীতে অটেয়ায়। আর প্রথম পরিচয় ২০০৩ সালে মন্ট্রিয়লে। প্রতিবারই ক্যামেরার পেছনে বসে তাঁর কথা শোনা। কথা মানেইতো 'মাতৃ ভাষার' গল্প মাতৃ ভাষা দিবসের গল্প।

না কেবল গল্প নয়, রীতিমত গল্প লিখে বাস্তবে তা রূপান্তরিত করার ইতিহাস। অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন একুশে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়ার জন্য আমন্ত্রন জানিয়ে এনেছিলেন জনাব রফিকুল ইসলাম ও জনাব আবদুস সালাম দু'জনকেই। সেই শেষবারের মত দেখা। মামাতো বোন নিঝুমের চাচা শ্বশুর রফিকুল ইসলাম। নিঝুমদের বাসায় রাতের খাবারদাবারের পর দীর্ঘ প্রানবন্ত আড্ডা।

২০০৩ সালে প্রথম মন্ট্রিয়লের এক টিভির জন্য, ২০০৭ এ নিউইয়র্কের এক চ্যানেলের জন এবং ২০১১ এ অস্টিন টেক্সাসের এক চ্যানেলের জন্য কথা বলতে যেয়ে মাতৃভাষা নিয়ে রফিকুল ইসলামের স্বপ্ন, ইচ্ছা পরিকল্পনার কথা গুলো জানা হয় আমার। তাঁর মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অবদা ওয়ার্ল্ড এর স্বপ্ন ও কর্মকান্ড নিয়ে ফিল্ম বা কিছু একটা করার জন্য অনেক কথা বললেন। কথা ছিল ভেনকুভার ফিরে যেয়ে কথা হবে আরো। আর হয়নি। ভালো হাসিখুশি মানুষটা সেবার ভ্যানকুভার ফিরে গেলে ক'দিনের মাথায়ই খবর পাই তাঁর শরীর হঠাৎ করে খারাপ করেছে।

অবস্থা ভালো নয়। খবর পেয়ে একবার ফোন করে ছিলাম, রিসিভ করেননি ভয়েস মেইলে চলে গিয়ে ছিল। তখন তাঁর কিমো চলছে। জীবনের এমন সব পরিস্থিতি গুলো মোকাবেলা করতে আমি একেবারেই অপারগ হয়ে পরি। নিঝুমের জামাই এমদাদদের ফ্যামিলিতে অকাল মৃতু্যর আরো বেদনা আছে।

আমি ওদেরকেও ফোন করে কিছু জানতে চাই না। দেশে ফিরে যাই। মাঝে এক বার খবর শুনেছি যে রফিকুল ইসলাম সুস্থ্য হয়ে উঠছেন, তাঁর চিকিৎসায় সফলতা এসেছে। আমার মনে একটা স্বস্থি আসে। তারও কিছু দিন পর পত্রিকায় খবর দেখি যে তিনি ক্যানসারের সাথে যুদ্ধে পরাস্থ হচ্ছেন ক্রমাগত।

তার পর ফেইস বুকে কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল এর ফীডে নিয়মিত চোখ রাখতাম। দুলাল ভাই ঢাকার দৈনিকে নিয়মিত ফলোআপ দিচ্ছিলেন রফিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার। এক একটা সংবাদ/ লেখা পড়ছিলাম আর কষ্ট পাচ্ছিলাম। একটা মানুষ ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন আর সেই সংবাদটুকুই আমরা জানছি। অসহায়, কিছুই করার নেই।

এটা ভাবতে পারি না, মানতে পারি না। মানুষ মরবে, আমরা সবাই প্রকৃতি/ নিয়তি যেভাবেই ভাবিনা কেন আমরা সকলেই যাবো। যেতে হবে। কত মানুষইতো ৮০/৯০ বছর বাঁচেন! কষ্ট লাগছে ভীষন

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.