আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র 'আশিকী'

আবার নির্মাণ হতে যাচ্ছে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র। দুই বাংলার আয়োজনে নির্মাণ হবে চলচ্চিত্র 'আশিকী'। পরিচালনা করবেন এপার বাংলার মোস্ট ওয়েলকাম-খ্যাত অনন্য মামুন এবং ওপার বাংলার 'খিলাড়ি' চলচ্চিত্র-খ্যাত নির্মাতা অশোক পতি। এতে অভিনয় করবেন টালিগঞ্জের অংকুশ ও শুভ্রশ্রী। আর ঢালিউড থেকে শিল্পী চূড়ান্ত করবেন ছবিটির কলকাতার প্রযোজক অশোক ধানুকা।

এ জন্য ৮ নভেম্বর তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। নির্মাতা অনন্য মামুন জানান, ঢাকায় এসে শিল্পী চূড়ান্ত করার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন অশোক ধানুকা এবং এখানকার প্রযোজক জোবায়ের আলম। একইসঙ্গে মহরত অনুষ্ঠিত হবে। চলচ্চিত্রটির দুদেশের দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকার পারসেফচুয়েল পিকচার্স এবং কলকাতার এস কে মুভিজ। নির্মাতা মামুন জানান, সংবাদ সম্মেলন ও মহরতে দুই বাংলার নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলী উপস্থিত থাকবেন।

২৮ নভেম্বর থেকে কলকাতায় চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হবে। ২০১৪ সালের মার্চে চলচ্চিত্রটি একইসঙ্গে দুই বাংলায় মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান নির্মাতা। এস কে মুভিজের সঙ্গে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর করে মঙ্গলবার ঢাকা ফিরেন অনন্য মামুন। 'আশিকী' চলচ্চিত্রের গল্প ও সংলাপ লিখেছেন নির্মাতা মামুন এবং ওপার বাংলার সংলাপ রচয়িতা হিসেবে থাকছেন তেলে ভট্টাচার্য। নির্মাতা জানান, শিল্পী, কলাকুশলী, সংগীত পরিচালক, কণ্ঠশিল্পী, নৃত্য পরিচালক, ফাইট ডিরেক্টর থেকে শুরু করে সব কিছুই সমানভাবে দুই বাংলা থেকে নেওয়া হবে।

এ পর্যন্ত ঢাকার একজন কণ্ঠশিল্পী চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি হচ্ছেন ইমরান। গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, পারিবারিক ও আধুনিক প্রেমের গল্পে 'আশিকী' নির্মাণ হবে। ফেসবুকের মাধ্যমে দুই বাংলার দুই তরুণ-তরুণীর প্রেম ও সংঘাতের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে এতে। বাংলাদেশের গ্রামের একটি ডানপিটে ছেলে।

তার গ্রামে ইন্টারনেট সেবা পেঁৗছায়। সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে সে। ফেসবুকের মাধ্যমে একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয় তার। 'হাই' বলে মেয়েটির সঙ্গে চ্যাট শুরু হয়। মেয়েটিও 'আই লাভ ইউ' বলে সাড়া দেয়।

এর পরপরই রহস্যজনকভাবে মেয়েটি ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করে দেয় ছেলেটিকে। মেয়েটি দুবাই বসবাস করে বলে জানে ছেলেটি। সে তার মাকে মেয়েটি সম্পর্কে সবকিছু জানিয়ে তাকে খুঁজতে দুবাই যায়। এক সময় খুঁজে পায় মেয়েটিকে। তখন জানতে পারে, সে আসলে কলকাতার এক বাঙালি তরুণী।

দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় প্রেমের মাঝে দেখা দেয় পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত। নানা ঘটনা এবং টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে 'আশিকী'র গল্প।

নির্মাতা মামুন জানান, 'মোস্ট ওয়েলকাম' এবং 'রোমান্স'-এর পর এটি তার তৃতীয় নির্মাণ। 'রোমান্স' চলচ্চিত্রের শেষ ভাগের শুটিং শুরু হবে নভেম্বর থেকেই।

নির্মাতার মতে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য দুই বাংলার চলচ্চিত্র বিনিময়ের চেয়ে যৌথ প্রযোজনার নির্মাণ শ্রেয়। কারণ এতে নির্দিষ্টভাবে বিনিময় চুক্তি থাকে না। তাই দুটি দেশই স্বাধীনভাবে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিয়ে লাভবান হতে পারে। এ ছাড়া দু'দেশের বাজার একসঙ্গে পাওয়ায় এতে লোকসানের আশঙ্কা থাকে না। নির্মাতা জানান, তার দীর্ঘদিনের এই স্বপ্ন পূরণ হতে যাওয়ায় তিনি আনন্দিত।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।