আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রকাশ্যে জামায়াত গোপনে জেএমবি একাধিকবার যৌথ মহড়া!

কবিতার প্রথম লাইনটি আসে স্বর্গ থেকে; বাকিটা তুমি গড়ে তোল।

প্রকাশ্যে জামায়াত গোপনে জেএমবি একাধিকবার যৌথ মহড়া! জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতার রিমান্ড চলছে প্রকাশ্যে জামায়াত, গোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি) করছেন জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ২৫ জন রুকন পর্যায়ের সদস্য। এসব রুকন দেশের উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতা। এ ছাড়া জেএমবি ও জামায়াতের 'স্বাস্থ্য বিভাগের' যৌথ মহড়ার ব্যাপারে নানা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে থাকা জামায়াত ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব তথ্য উঠে আসে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া এসব তথ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণের জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জেএমবির আমির সাইদুর রহমানের সঙ্গে জামায়াতের তিন নেতাকে মুখোমুখি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পল্টন থানার ওসি শহিদুল হক গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে জানান, জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবার নতুন মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্র মতে, এর আগে জেএমবি প্রধান সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হলে তাঁকে কয়েকদফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সাবেক আমির থেকে সর্বশেষ তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আমির ছিলেন।

রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াত-জেএমবির অজানা সম্পর্কের অনেক কিছুই খোলাসা করে দিয়েছেন তিনি। সাইদুরকে জিজ্ঞাসাবাদের সব কিছু ভিডিওতে ধারণ করে রাখা হয়। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে সাইদুর জানিয়েছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেএমবির সদস্যের একসঙ্গে একাধিকবার মহড়া হয়েছে। এসব মহড়া সাধারণত ঘরোয়া পরিবেশে হয়েছিল। শারীরিক কসরত ছাড়াও ক্ষুদ্রাস্ত্র চালনার পদ্ধতি শেখানো হয় এসব মহড়ায়।

গতকাল পৃথকভাবে জামায়াতের তিন নেতাকে জেএমবি-জামায়াতের যৌথ মহড়ার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনজনই এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। পরে তিনজনকে পাশাপাশি বসিয়ে সাইদুরের বক্তব্য সংবলিত ভিডিও চালিয়ে দেখানো হয়। তখন তিনজনের একজন প্রশ্ন তোলেন, সাইদুর যে সব সত্য বলেছে, তাঁর প্রমাণ কী? জিজ্ঞাসাবাদকারীরা তখন বলেন, সাইদুর তাঁর দলের সব কর্মকাণ্ড ভিডিওতে ধারণ করতেন। গ্রেপ্তারের সময় যৌথ মহড়ার একাধিক ভিডিও সিডি উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে।

সেগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আছে। চাইলে আপনাদের দেখনো যেতে পারে। তখন তিনজনের কেউ এ বিষয়ে কথা বাড়াতে আগ্রহী হননি। পরের দফায় জিজ্ঞাসাবাদে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার জামায়াতের ২৫ রোকনের জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা তিন নেতাকে জানানো হয়। তখন তাঁরা যুক্তি দেখান, কেউ তাঁদের অজান্তে কিছু করলে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের কারো কিছু করার থাকে না।

কারণ জামায়াতের কর্মী সংখ্যা অনেক। তখন গোয়েন্দাদের সংগৃহীত জামায়াত-শিবির সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তাঁদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে সাংগঠনিক পরিষ্কার নির্দেশনা আছে যে দলের কোনো কর্মী কোনো কাজ করলে অবশ্যই শীর্ষ নেতাদের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো কাজ করলে অবশ্যই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। পরে ২৫ রোকনের নাম-পরিচয় তাঁদের সামনে তুলে ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদকারীরা তখন তিন নেতার কাছে জানতে চান, ওই ২৫ জনকে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না।

জবাবে তাঁরা বলেন, জেলা পর্যায়ের সব নেতাকে তাঁরা সরাসরি চেনেন না বা চেনা সম্ভব নয়। জিজ্ঞাসাবাদকারীরা সাইদুরের দেওয়া তথ্যের পাশাপাশি ২৫ জনের বর্তমান দলীয় অবস্থাও তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যায়, ওই ২৫ জন এখনো সরাসরি জামায়াতের রাজনীতি করছেন। সূত্র জানায়, এর কিছুক্ষণ পরে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মুখোমুখি করা হয় সূত্রাপুর থানার একটি মামলায় রিমান্ডে থাকা জেএমবির এহসার সদস্য সৈকতকে। সৈকত মুজাহিদের সামনেই বলতে থাকেন, 'আপনার দলের অনেকেই তো আমাদের দল করছে।

বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিভিন্ন সময় আপনার দলের লোকজনের সহযোগিতাও পেয়েছি। তাঁরা তো আমাদের জিহাদ চালিয়ে যেতে উৎসাহও যুগিয়েছেন। ' মুজাহিদ প্রথমে সৈকতকে ধমকাতে থাকলেও পরে এসব কথা শুনে চুপসে যান।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.