আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেগম খালেদা জিয়ার টেলিফোন, ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হকের উক্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গ বন্ধু কলেজ



বেগম খালেদা জিয়ার টেলিফোন, ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হকের উক্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গ বন্ধু কলেজ গত ২৭/১০/১৩ ইং তারিখ রোজ রবিবার বাংলাদেশ প্রতিদিন সংবাদে প্রকাশ ‘খালেদা অন্যায় করেছেন, আমন্ত্রন গ্রহন করা উচিত ছিল- আপনার এই উক্তি সর্বজন গৃহিত নয়। বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক লোক। ১৮ দলীয় জোট নেত্রী। জোটের প্রধান হিসাবে তাকে সব সময় জোটভুক্ত দল গুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তিনি হরতাল ডাকার আগ মূর্হুত পযর্ন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোনের অপেক্ষায় ছিলেন।

কিন্তু শেখ হাসিনা ‘হরতাল, ডাকার পর বেগম খালেদা জিয়াকে ‘হরতাল উড্ড করার শর্তে আলোচনায় ডেকে ছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া দুইজনই পরিপক্ক রাজনীতিবিদ। সাধারন জনগনের মত মোটা বুদ্ধির লোক নন। ‘বর্তমান সংকট জনক অবস্থা, সমাধানের ইচ্ছায়-তারা যে কোন সময় যে কোন স্থানে আলোচনায় বসতে পারেন। তা‘ছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনেকাংশেই এলোমেলো।

তিনি একবার বলছেন, নির্বাচিতদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা, আবার বলছেন, সংবিধান থেকে এক চুল বাহিরেও তিনি যাবেন না’। এ দিকে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও বায়না ধরেছেন ‘নিদর্লীয় সরকার ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তাহলে অর্থ দাড়াঁ কি? ঠিক যেন শিশু বয়সের সেই মনে মনে কলা খাওয়ার মত অবস্থা। ক্ষমতার দ্বন্দই তাদের প্রধান অন্তরায়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই-স্বৈরাচার এরশাদ এখন আওয়ামী লীগৈর হাতিয়ার আর স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-ই-ইসলামী বিএন পির ছায়া তলে ক্ষমতা দখলে মরিয়া।

এই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে ২০০৪ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের কথা মনে পড়ে। আপনি তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের গভর্নিং বর্ডির সভাপতি। আপনার নেতৃত্বে কলেজকে ডিগ্রী কলেজে উন্নিত করার লক্ষ্যে ২৪টি বিষয়ে প্রায় ৪৮জন প্রভাষক/প্রভাষিকা নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এই সকল নবীন প্রভাষক/প্রভাষিকাদের কাছ থেকে বিপূল পরিমান ডোনেশন আদায় করা হয়েছিল’ আপনাকে অন্ধকারে রেখেই। যার নেতৃত্বে ছিলেন বি.এন,পি দলের স্থ্ানীয় কিছু দুর্নীতিবাজ নেতা ও তৎকালীন ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ জনাব জাহাঙ্গীর আলম।

সেই দিন রাগে-দুঃখে ও অপমানে আপনি পদ থেকে পদত্যাগ করে ছিলেন। নৈতিক দায়িত্ব মনে করে ,আমি তাদের বিভিন্ন প্রকার দুনীর্তির কথা আপনাকে জানিয়ে ছিলাম। আপনার দেওয়া উপদেশ অনুযায়ী দুনীর্তিবাজদের বিরুদ্ধে দুনীর্তিদমন কমিশন, স্থানীয় ইউএনও, জেলাপ্রশাসক ও শিক্ষা-উপদেষ্ঠা বরাবর আবেদনও করে ছিলাম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কালিয়াকৈর থানার শিক্ষা অফিসারদ্বয় সম্ভবত ১৭দফায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দাখিল করে ছিল। এতে স্থানীয় বিএনপির দুনীর্তিবাজ নেতৃবৃন্দ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সাহেব ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সাময়িক বহিস্কার ও একাধিক মামলাসহ, প্রানে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে ছিলেন।

এই ব্যাপারে আমি আপনার কাছে সাহায্য চেয়েও আশানুরুপ সারা পাইনি। এই সুযোগে শিক্ষামন্ত্রণালয় কতৃর্ক তদন্ত কমিটির দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে (ডোনেশনে নিয়োগ প্রাপ্ত নবীন প্রভাষক/প্রভাষিকা চাকুরী হারাবার ভয়ে বিপুল পরিমান ঘুষ দিয়ে) জাহাঙ্গীর আলম বাঁচার তাগিদে এ্কটি নামে মাত্র তদন্ত রিপোর্ট বাহির করেন। আমি সাথে সাথে এই তদন্ত রির্পোটকে চ্যালেন্স করে প্রমানপত্রসহ তৎকালীন পরিচালক জনাব আলী আকবর খান (ডলারের ) সাহেবের সাথে দেখা করে তদন্ত রিপোর্ট বাতিল ও পূনঃতদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি কামনা চেয়ে আবেদন করে ছিলাম। তিনি আমার আবেদন গ্রহন করে ছিলেন। কিন্তু হাঠৎ করে তিনি বদলি হয়ে গেলে পরবর্তী পরিচালক সময়ে স্বল্পতায় অজুহাত দেখিয়ে আমাকে আশানুরুপ সহায়তা করেনি।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে আমি স্থানীয় এমপিও পরবর্তী তে কলেজের গর্ভনিং বর্ডির সভাপতি জনাব আ.ক.ম মোজ্জাম্মেল হক সাহেবের কাছে সার্বিক ঘটনা জানিয়ে লিখিত একটি আবেদন করি। সার্বিক ঘটনা পর্যবেক্ষন পূর্বক তিনি আমার বহিস্কার আর্দেশ প্রত্যাহার করেন এবং অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী ও দলীয় বিবেচনায় ডোনেশনে নিয়োগ প্রাপ্ত এই সকল নবীন প্রভাষক/প্রভাষিকাদের বিরোধে ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দ্যোগী হলে ডোনেশনের টাকা হজমকারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ/বিএনপি এবং খন্ডকালীণ অযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব জসীম উদ্দিনের চক্রান্তে পড়ে শেষ অব্দি তার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন। জনাব তা‘হলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আমাদের লাভ কি? আপনার ভরসায় আমি মৃত্যৃর দার-প্রান্তে দাঁড়িয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ছিলাম। কিন্তু বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুস্কৃতিকারীরা শেষ পযর্ন্ত আমাকেই কলেজ ছাড়া করেছে। চাকুরী থাকতেও বর্তমানে ফেরারী জীবন নিয়ে ঘুরে ফিরছি।

তাই আপনাকে বলছি, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মুদ্রার এপিট-ওপিট। নিজ নিজ স্বার্থে ভিন্ন দল। আবার প্রয়োজনে একদল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।