কোনো দল অংশগ্রহণ না করলে আগামী জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর এই সদস্য।
শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিরোধীদলীয় প্রধানকে উদ্দেশ্য করে সুরঞ্জিত বলেন, “এখনো সংলাপ ও সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যায়নি। যদি আপনার সদিচ্ছা থাকে তাহলে আগামী ৪, ৫ ও ৬ তারিখের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সংলাপ ও সমঝোতার উদ্যোগ নিন। আমরা সংলাপে বসতে চাই, কিন্তু এবার উদ্যোগ আপনাদেরই নিতে হবে। ”
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে টানা ৩ দিন হরতালের পর বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক করেন ১৮ দলীয় জোট প্রধান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বৈঠকের পর আগামী ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বরে আবারো কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত মিলেছে জোট নেতাদের বক্তব্যে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (ফাইল ছবি) এ প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, “বিএনপির গত ৩ দিনের হরতালের কারণে মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। অথচ বিরোধীদলীয় প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি সেই আহ্বান রক্ষা করলে এতো ক্ষয়ক্ষতি আমরা এড়াতে পারতাম। ”
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (ফাইল ছবি)
কর্মসূচি বা ‘আল্টিমেটাম’ দিয়ে আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত।
“বরং এর ফলে রাজনীতি অস্থিতিশীল হবে। আপনাদের জনবিচ্ছিন্নতা বাড়বে। ”
সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীর পর থেকেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জো্ট। একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
এ প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, “নির্বাচন করব না – এটা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে কোনো গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব নয়।
কোনো রাজনৈতিক দল যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনে যেতে না চায়, তাহলে সেই দলকে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে নির্বাচনে নেয়ার কোনো ব্যবস্থা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে নেই। ”
বিএনপির কোনো কর্মসূচিই সরকারকে নির্বাচনের পথ থেকে টলাতে পারবে না মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “নির্বাচন হবেই এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। ”
সর্বশেষ সংবিধান সংশোধন কমিটির কো চেয়ার সুরঞ্জিত বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীসভা গঠনের বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে।
“আগামী ২৪ জানুয়ারি এ সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচনকালীন মন্ত্রীসভার বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে তিনি যদি চান, তাহলে যে কোনো রিশাফল করতে পারেন।
”
তবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনার আহ্ববান এখনো বহাল আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সংলাপ মানে নির্দেশমূলক কোনো অবস্থান নয়। সাংলাপ মানে সমঝোতা। আমাদের আহ্বান এখনো বহাল রয়েছে। আপনারা নির্দেশমূলক অবস্থান ত্যাগ করে পরিষ্কার মন নিয়ে সংলাপের উদ্যোগ নিন। সমঝোতার পথে আসুন।
”
জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এ আলোচনায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামীলীগের ঢাকা মহানগর শাখার সহসভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ঢাকা মহাগরের সভাপতি মীর হোসেন আখতার, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মিজি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।