গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রশিবিরের তিন কর্মীর মুক্তির দাবিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে এ হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় উপাচার্য কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী জানান, দুপুর ১২টা ২৭ মিনিটে তাঁর ব্যবহূত মুঠোফোনে শিবিরের গ্রেপ্তার কর্মীদের মুক্তি না দিলে বোমা মেরে বাসভবন উড়িয়ে দেওয়াসহ হত্যার হুমকি দিয়ে একটি বার্তা পাঠানো হয়। বার্তা পাওয়ার পরই তিনি ক্যাম্পাসে অবস্থিত অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে বিষয়টি জানান।
গত ২৪ অক্টোবর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কের মোড়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সমর্থিত জাতীয় যুব জোটের মানববন্ধন শুরুর আগে কয়েকটি ককটেল ফাটানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিবিরের তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন আসাদুজ্জামান নূর (২২), রহমত আলী (২৩) ও মোকসেদ আলী (২২)।
পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘স্যারের (উপাচার্য) মুঠোফোন দেখেছি। এ ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
ঘটনার পর দুপুরের পর থেকে উপাচার্যের বাসভবনে পুলিশ মোতায়েনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ’
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ভিসি সাহেব, ভার্সিটির শিবির নেতাদের দ্রুত মুক্তি না দিলে আপনার গাড়ি ও বাসভবনে বোমা মারা হবে। তাই বাঁচতে চাইলে ভার্সিটির শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করুন। ’
উপাচার্যকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ ও মুঠোফোন বার্তার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হাফিজুর রহমান ও সদস্যসচিব বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।