সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়।
তারা বলছে, এসব মসলার মধ্যে সাত শতাংশে পাওয়া গেছে স্যালমনেলা ব্যাকটেরিয়া। আর ১২ শতাংশে পোকা-মাকড় কিংবা তার দেহাবশেষ, চুলসহ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে।
৩০ অক্টোবর প্রকাশিত ‘মসলায় কীট-পতঙ্গ ও নোংরা উপাদান’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে আমদানি মসলাপাতি গভীর পর্যবেক্ষণ করে অন্ততঃ সাত শতাংশ মসলার মধ্যে স্যালমনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জ্যান এম ভ্যান ডরেন সাংবাদিকদের বলেন, “এই প্রতিবেদনের ফলাফল ‘সর্বসাধারণের জন্য সতর্কতা’।
একইসাথে যারা এগুলো উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাত করছেন তাদেরকেও সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। ”
তিনি বলেন, মসলা জাতীয় কাঁচামাল গুদামজাত করার এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় এরকম স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর পদার্থের সংমিশ্রণ ঘটে।
এফডিএর হিসাবে, ২০১০ পর্যন্ত ৩৭ বছরে আমদানি করা এসব মসলার প্রায় চারভাগের এক ভাগ ভারত থেকে এসেছে। মেক্সিকো এবং ভারত থেকে আমদানি করা মসলার মধ্যেই বেশি পরিমাণ স্বাস্থ্যহানিকর পদার্থ পাওয়া গেছে।
তবে এসব কারণে স্বাস্থ্যগতভাবে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
রেকর্ড অনুযায়ী, গত তিন যুগে মসলার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যা দুই হাজারেরও কম, যাদের মধ্যে মাত্র ১২৮ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখ মানুষ স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হন। এর মধ্যে কতভাগ মসলাসংক্রান্ত সংক্রমণের কারণে হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া, জ্বর, পেটের পীড়ার মতো রোগ হয়ে থাকে।
কর্মকর্তারা জানান, খুব সামান্য পরিমাণ মসলা খাওয়ায় সাধারণত এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হয় তা নিয়ে খুব একটা সতর্ক থাকে না বেশিরভাগ মানুষ।
মসলার প্রধান ভোক্তা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা চিকিৎসককে খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করেন না বলে এর ফলে কতজন অসুস্থ হচ্ছেন সেটি সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয় না।
এদিকে ইতোমধ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় সীসা পাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা প্রাণের গুঁড়া হলুদ টেক্সাস অঞ্চল থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ জারি করেছে এফডিএ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।