আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈর্ষা ও আগ্রাসী আচরণের নেপথ্যে

কারও প্রতি ঈর্ষা, অবজ্ঞা বা তার নামে গুজব ছড়ানোর মতো পরোক্ষ আগ্রাসী প্রবণতা মানুষের মধ্যে বিরল নয়। কানাডার গবেষক ট্র্যাসি ভ্যাইলানকোর্ট বলছেন, এ ধরনের নেতিবাচক প্রবণতাগুলো নারীদের সামাজিক আচরণের অন্তর্ভুক্ত। তারা নিজেদের মধ্যে ভয়ানক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে এ রকম আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে।
ফিলোসফিক্যাল ট্রানজ্যাকশন অব দ্য রয়েল সোসাইটি বি প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েই পরোক্ষ আগ্রাসী মনোভাব ধারণ করতে পারে। কিন্তু নারীদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় অসাধু কৌশল অবলম্বনের প্রবণতা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

আর তারা পুরুষের অগোচরেই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে পারে।  
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ভ্যাইলানকোর্ট বলেন, নারীদের হিংসাত্মক মনোভাব অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপ্রকাশিত থাকে এবং তারা প্রতিদ্বন্দ্বীকে নাজেহাল করতে সমর্থ হয়। এ ধরনের পরোক্ষ আগ্রাসনের কারণ বিবর্তনের ইতিহাসেই লুকিয়ে রয়েছে।
কিন্তু এ রকম আচরণের জন্য কেবল নারীর ওপর দায় চাপানো কি ঠিক? যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান ক্যাম্পবেল বলেন, কোনো ধরনের শারীরিক ক্ষতি না করেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে পর্যুদস্ত করার কৌশলটি নারীরা কাজে লাগায়। কারণ, সন্তান ধারণ ও লালনে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতার কারণেই তারা শারীরিক আক্রমণ বর্জন করে পরস্পরের বিরুদ্ধে কেবল মনস্তাত্ত্বিক আক্রমণের কৌশল বেছে নেয়।

লাইভসায়েন্স।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।