দরজার কাছে এগিয়ে গিয়ে বেল টিপলেন নিকোলাই আরখিপোভিচ। প্রায় তৎক্ষণাৎ দরজা খুলে গেল। ভেরা জড়িয়ে ধরল তাকে, বলল, ‘কেমন আছো তুমি?’
‘ভালো আছি। আমাকে মিস করছিলে খুব?’
ভীষণ!’
হঠাৎ কপাল কুঁচকে ভেরার দিকে তাকালেন নিকোলাই আরখিপোভিচ, বললেন, ‘তুমি এটা কী গায়ে দিয়েছ?’
নতুন ড্রেসিং গাউন। শুধু তোমার কথা ভেবে পরেছি।
’
কিন্তু একেবারেই স্বচ্ছ তো! ভেতরে সব দেখা যাচ্ছে। যদি আমি না হয়ে অন্য কেউ আসত?’
কী যে বলো না! তুমি ছাড়া আর কে আসতে পারত?’
না, ঘটনা ঠিক সুবিধের মনে হচ্ছে না। আমার জন্য পরেছ বলছ? নাকি তোমার কাছে কেউ এসেছিল একটু আগে?’
তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না?’
বিশ্বাস করলেও পরখ করতে তো দোষ নেই!’
নিকোলাই আরখিপোভিচ ফ্ল্যাটজুড়ে খুঁজতে শুরু করলেন। আলমারি, ব্যালকনি, দুটো ঘর, বাথরুম, কোনো কিছুই বাদ পড়ল না। ভেরা তার পিছু পিছু ঘুরতে লাগল ছায়ার মতো, বলল, ‘হায়, ঈশ্বর! প্রতিটিবার একই ঘটনা! আর কত ঈর্ষা করা সম্ভব?’
‘কাউকে খুঁজে পেলে স্রেফ খুন করে ফেলব,’ টয়লেট প্যানের ভেতরে উঁকি দিতে দিতে উত্তর দিলেন নিকোলাই আরখিপোভিচ।
ভেরা কাঁদতে শুরু করল।
‘আমার জীবনে কোনো সুখ নেই কেন? কত বছরের সম্পর্ক অথচ প্রতিবারই এই খোঁজাখুঁজি, অমূলক সন্দেহ!’
‘ভেরা, তুমি আমাকে চেনো। আমার প্রতি অবিশ্বস্ত হলে তুমি নিজেই আক্ষেপ করবে। ’
ভেরার কান্না প্রবলতর হলো। দেখে মায়া জন্মাল নিকোলাই আরখিপোভিচের মনে।
ভেরাকে কাছে টেনে নিয়ে তিনি তাঁর মাথায় হাত বোলাতে শুরু করলেন। তারপর বললেন, ‘কেঁদো না। প্লিজ, কেঁদো না। ...এখন বলো, স্বামী কদ্দিনের জন্য গেছে?’
‘এক সপ্তাহের জন্য। ’
মুচকি হেসে নিকোলাই আরখিপোভিচ চুমু খেলেন ভেরার গালে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।