পোপ ফ্রান্সিসের ফোনেও আড়ি পেতেছিল আমেরিকা। শুধু পোপই নয়, অন্যান্য কার্ডিনালদের ফোনেও নজরদারি চালিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ। দাবিটি করেছে ইতালীয় ম্যাগাজিন প্যানোরামা। আর এই তথ্য সামনে আসার পর ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে।
প্যানোরামার দাবি, পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগে কার্ডিনাল জর্জ মারিও বার্গোলিওর ফোনেও আড়ি পেতেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।
পোপ নির্বাচিত হওয়ার আগে সম্ভাব্য পোপ কে হচ্ছেন তা জানতে কার্ডিনালদের সভাতেও আড়ি পাতা হয়েছিল। আর এ নজরদারির আওতা থেকে বাদ পড়েনি ইতালিও।
বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ ফোনে আড়ি পাতেন মার্কিন গোয়েন্দারা- ইউকিলিকসের ফাঁস করা এ তথ্যে ঝড় ওঠে বিশ্ব রাজনীতিতে। সেই ঝড়কে দাবানলে রূপ দিয়েছে পানোরামায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক রিপোর্টটি।
২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালির ৪ কোটি ৪৬ লক্ষেরও বেশি ফোন কলে আড়ি পেতেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা।
এনএসএ কর্তা কিথ আলেকজান্ডারের দাবি, সাধারণ নাগরিকদের ফোন ও ইমেলে আড়িপাতার অভিযোগটি সত্য নয়।
বর্তমানে ইতালি ছাড়াও মার্কিন নজরদারির অভিযোগে সরব জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, চীনসহ একাধিক দেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। দিনকয়েক আগে জার্মানির ডার স্পাইগেল, ফ্রান্সের ল্য মঁদ ও স্পেনের এল মুন্দো সংবাদপত্র দেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিকের ফোন ও ই-মেইলে মার্কিন নজরদারির অভিযোগ তোলে। নজরদারির আওতা থেকে বাদ যাননি জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও। টানা ১০ বছর তার ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির নামে।
এজন্য ইতোমধ্যে ওবামা প্রশাসনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে জার্মানি। বুধবার আমেরিকার কাছে জবাব চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির একটি প্রতিনিধি দল।
গোটা পদ্ধতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রশাসন। সবমিলিয়ে, আড়িপাতা নিয়ে এই মুহুর্তে বেশ কিছুটা চাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।