বেড়ে ওঠার চেষ্টা করছি ''''অতঃপর তাহাঁরা প্রবীণ অধ্যাপককে কুপাইতে শুরু করিল। তাহার রক্তস্রোত গঙ্গা জলের ন্যায় সুরমা নদীর স্রোতের সাথে মিলিয়া একাকার হইয়া গেল। পায়ের রগ গুলা কাটিয়া উল্লাসিত হইয়া হুজুর দল উল্লাস করিতে লাগিল।
পাকা গোঁফওয়ালা অধ্যাপকের সাহসী বক্ষের হৃদস্পন্দন ক্রমে ক্রমে স্তিমিত হইয়া আসিতে লাগিল। সকল বিদ্যা পড়িয়া থাকিল সুরমা পাশে।
নিথর দেহ থেকে হঠাৎ ফোঁস করে একটা শব্দ বাহির হইল। তিনি প্রাণবায়ু ত্যাগ করিলেন। '''
২০৫০ সালে প্রকাশিতব্য ''শি, বি ও র এর দুঃসাহসিক অভিযান'' বইটি থেকে উদ্ধৃতিটা নিলাম। কাল্পনিক বইটা হয়ত সত্যি সত্যিই লেখা হতে পারে যদি আমার আশঙ্কা সত্যি হয়। পাকা গোঁফওয়ালা অধ্যাপককে কি চিন্তে পেরেছেন ?তার বড় পরিচয় তিনি ৭১এ পিতা হারানো এক হতভাগ্য সন্তান।
হ্যাঁ , ডঃ মুহাম্মাদ জাফর ইকবালের কথা বলছি। সত্যি বলছি , অনেকেই পিঠ বাঁচিয়ে রাজাকারদের নিধন করেছেন কিন্তু এই একটি মাত্র ব্যক্তি যাকে আমি কখনও জামাত-শিবির নিয়ে লেখার সময় বিব্রত বোধ করতে দেখিনি।
আজ তার একটা লেখা প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে। শিবির করা বেকুবদের তিনি পিতৃ স্নেহ দিয়ে সঠিক পথে আসার অনুরোধ করেছেন। এতে কোন কাজ হবে বলে আমি মনে করি না কিন্তু তার জীবনের নিরাপত্তা চলে যাবে শূন্যর কোঠায়।
যে মানবতার কথা জাফর ইকবাল স্যার শিবিরকে বোঝাতে চেয়েছেন সে মানবতা বোঝার মানসিকতা অনেক আগেই গোলাম আযমরা গলা টিপে মেরে ফেলেছে। তাই এই মাসে যুদ্ধাপরাধের সাথে সাথে তরুনদের ভবিষ্যৎ হত্যার দায়েও তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।
আমি চাই না ২০৫০ সালে কোন বইতে এভাবে জাফর ইকবালের মত কারও মৃত্যুর কথা উঠে না আসুক। আমি আশংকা করছি জাফর ইকবালের প্রাণ সংশয়ের। অস্তিত্তের সংকটে থাকা জামাত শিবির শেষ হয়ে যাওয়ার আগে পাকিস্তানিদের মত বুদ্ধিজীবী নিধনে মেতে উঠবে না তার নিশ্চয়তা কি!! তাদের জন্য এটাই বরং স্বাভাবিক বিষয়।
প্রধানমন্ত্রীকে বলছি ,আমি কিছুই আজ শুনতে চাই না। কিছু বুঝতেও চাই না। আমি চাই এইদেশ থেকে এর একটা বুদ্ধিজীবী হারিয়ে না যাক। তার জন্য আপনার যা করতে হয় আপনি করবেন। কি করবেন তা আমি জানি না।
জাফর ইকবালের নিরাপত্তা আপনাকে দিতে হবে। যদি ব্যর্থ হন তাহলে জাতি ব্যর্থ হবে। ১ কোটি শিবির থেকে একজন জাফর ইকবাল বেশি মূল্যবান। কি বলতে চেয়েছি তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।