গেন্দু মিয়ার চরিত্র – ফুলের মতন পবিত্র!
কালো রাত
----------
(পর্ব - ১/৪)
রাস্তা থেকে দেখা যায় ঘরটা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক অখ্যাত শহরের হাইওয়ে ঘেঁষে নেমে গিয়েছে এক ছোট রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে ত্রিশ কদম আগালে হাতের ডানে পড়ে সেই বাড়ি। আর রাস্তা থেকে দেখা যায় দোতলার সেই ঘর।
সেই ঘরে বসেছে ওরা তিনজন।
ডেভিড, কাদের আর মুসা। আজকে রাতের অপারেশনের প্লান আঁটছে তারা। কথা বলছে দলের নেতা ডেভিড। বেশ খর্বাকৃতির বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বাকি দু'জন দেখতে হুবহু একরকম। মাস তিনেক হয়ে গেলো, ডেভিড এখনো দু'জনকে আলাদা করতে পারে না।
চেহারার কাটছাট, গলার স্বর, কথা বলার - চলা ফেরার ভঙ্গি হুবহু এক। নিজেকে খুব বুদ্ধিমান মানুষ মনে করলেও ডেভিড যেন এদের সামনে কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।
ডেভিড জানায় প্ল্যানটা, সে সব জোগারযযন্ত্র করে রেখেছে। ভাড়া করা কস্টিউম চলে এসেছে, যন্ত্রপাতি ঠিক আছে, এখন শুধু সন্ধ্যা নামার পালা। আজ রাতে একটা বাড়ি টার্গেট করা হয়েছে।
প্লাম্বার হবার সুবাদে ডেভিডের প্রায়ই যাওয়া আসা হয় এই বাড়িতে। কাজেই কী পরিমান টাকা পয়সা পাওয়া যাবে একটা হিসেব করে রেখেছে সে।
এখান থেকে দুই ব্লক পরে বুড়ি মার্গারেটের বাড়ি। বুড়ির স্বামী বছর চারেক আগে মারা যাবার পর থেকে সে একাই থাকে। ছেলে মেয়ে দুটো আলাদা হয়ে যাবার পর প্রথম প্রথম ক্রিসমাসে, নিউ ইয়ারে কার্ড পাঠাতো, এখন তাও বন্ধ।
বুড়ির ভালোই টাকা পয়সা আছে। এককালে থিয়েটারে অভিনয় করে কামিয়েছিল। যৌবনের শেষ প্রান্তে এসে ছোটখাট দু’একটা কম বাজেটের সিনেমাতেও কাজ করেছে সে। পুরনো ধারার মানুষ হওয়ায় এখনো সে বাসাতে ক্যাশ রাখে। উপযুক্ত টার্গেট।
তবে পুরো প্ল্যানটা ডেভিড বলেনি তার সাথের দু’জনকে। তার কাজের ধরণ অনেকটা এরকমই। এই লাইনের প্রথম শিক্ষা হচ্ছে নিজেকে ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করতে নেই।
পা টা নাড়িয়ে প্যান্টের বাম পকেটে রাখা পিস্তলটা আরেকবার অনুভব করে নিলো ডেভিড। সব কিছু ঠিকঠাক মত হলে কোন বুলেট খরচ করতে হবে না।
ঠিক দশটার সময় সিন্থিয়া মিনিট্রাকটা নিয়ে এসে দাঁড়াবে পিটার সাহেবের বাড়িটার সামনে। এরপর হাইওয়ে ধরে বর্ডার পেরিয়ে সোজা মেক্সিকো।
মনে মনে প্ল্যানটা নেড়ে চেড়ে দেখছে ডেভিড। সব ঠিক আছে, এখন শুধু সন্ধ্যা নামার অপেক্ষা।
--------
পাদটীকাঃ প্রতিদিন চার পর্বের একটি করে পর্ব দিতে চাই।
আজ মঙ্গলবার - শুক্রবারে শেষ হবে। পুরোটা লেখা আছে কাজেই আশা করছি মিস হবে না। মতামত জানাবেন। আপনার গঠনমূলক সমালোচনা আমাকে ভালো লিখতে উৎসাহিত করবে।
প্রথম পর্ব পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।