জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক
সাম্রাজ্যবাদীরা বিশ্বসাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও সরকার- দেশে এদের সমন্বয়ে একটি রাজনৈতিক এবং আর্থিক শক্তি প্রয়োগ করে। সম্মিলিতভাবে একে বলে কর্পোরেটোক্রেসি। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করা হয় এই ত্রুটিপূর্ণ ধারণা এবং নিয়মকে অনুসরণ করতে। এই সম্মিলিত শক্তি আমাদেরকে এমন এক পর্যায়ে উপনীত করেছে, যেখানে আমাদের বৈশ্বিক সংস্কৃতি এক সর্বভুক দানবে পরিণত হয়েছে।
মাফিয়ার সদস্যদের মতো অর্থনৈতিক ঘাতকরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিলায়।
এগুলো মূলত ভৌত অবকাঠামো, যেমন- বিদ্যুৎকেন্দ্র (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র), হাইওয়ে (৪ লেন বিশিষ্ট হাইওয়ে), সমুদ্রবন্দর (বঙ্গোপসাগরের নিকটে), সেতু (পদ্মা), রেলাইন (ভারত পর্যন্ত), বিমানবন্দর (প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দর) ও শিল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এসব ঋণের মূল শর্ত হচ্ছে এই যে, এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যেকোনো সাম্রাজ্যবাদীদের কোম্পানিকে অবশ্যই দিতে হবে। এখন অবশ্য চেহারা কিছুটা পাল্টেছে।
যেমন কখনো পার্শ্ববর্তী মিত্রদের দেশের কোম্পানির মাধ্যমে প্রবেশ করে সাম্রাজ্যবাদীরা। এসব কাজ পাইয়ে দিতে যখন অর্থনৈতিক ঘাতক পুরোপুরিভাবে সফল হয় তখন ঋণের অঙ্ক বিশালাকার ধারণ করে।
তখন কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণগ্রহীতা দেশটি ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে বাধ্য হয়। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন মাফিয়ার মতো ঋণখেলাপী দেশটির টুটি চেপে ধরা হয়। তখন জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দান, ঋণখেলাপী দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর হাতে ঋণ খেলাপী দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দেয়া অথবা ঋণ খেলাপী দেশের উপর দিয়ে অবাধে যাতায়াতের অধিকার অর্জন করা হয়। তারপরেও ঋণখেলাপী দেশটি ঋণীই থাকে।
আমাদের দেশে বর্তমান মহাজোট সরকার বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের জন্য যত না ঋণ দিয়েছে তার চেয়ে অধিক ঋণ নিয়েছে বিভিন্ন স¦প্ন বাস্তবায়ন কর্মসূচির জন্য।
এর জন্য আগামীতে অপেক্ষা করছে নতুন বিপদ সঙ্কেত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।