সেই কবে চোখ দিয়ে ধনুক ছুড়ে কপালে একটা ছিদ্র করে দিয়েছিল ধারালো ঠোটের এক রাখালিনী। সুরমা পারের সেই ঘটনার অনেকদিন পরে, ইদানীং সে ছিদ্র দিয়ে ভিনদেশি ঘুণপোকারা মগজে ঢুকে মিছিল মিটিং করে। বিদ্যালয়ের বেঞ্চে খুদাই করে তিড়িং বিড়িং করে লেখাগুলো রুশ মেয়েরা বুঝে না। তাদের কড়া বডি স্প্রের তেজ নাকের ভিতর দিয়ে যখন মগজে ঢুকে তখন ঘুণপোকারা পালায়। পালানোর আগে বলে যায় নিহত হওয়ার আগে বুকের বোতাম লাগিয়ে নিও,কপালে লাগিয়ে নিও আগুন রাঙা ধারালো ঠোঁটের প্রলেপ।
মদের গ্লাসের টুংটাং আর হাই হিলের টকটক শব্দ শেষ রাত লবণাক্ত করে তুলে। আমিও ইনসোমনিয়াক হয়ে হাতরে ফিরি কে কখন খালি পায়ে ঘরের বাহিরে এসে কপালের ছিদ্রে লাগিয়ে দিয়েছিল লবণাক্ত স্পর্শ। কতকিছুই তো ভুলে যাই যেমন ভেঙ্গে পড়ার গল্প, আঁতকে উঠার মুহূর্তগুলো, এলোমেলো হয়ে যাওয়া শেষ রাত অথবা গাছ হয়ে যাওয়ার ইতিহাস। শুধু বারবার মনে থাকে একটা নদী কেঁদে-কেঁদে বয়ে গিয়েছিল দক্ষিণে, আর উত্তরে চলছিল উৎসবের ফায়ার ওয়ার্কস। আমি জানি না নদীটা কি ঠিক আগের জায়গায় আছে কিনা,মশাল মিটিমিটি জ্বলজ্বলে পাহারা দিচ্ছে কিনা সুরমা পারের অন্ধকার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।