বিমান বাংলাদেশ এয়ারলান্সের বহরে থাকা ৩০ বছরের পুরানো এই উড়োজাহাজের শেষ ঠিকানা হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এর জাদুঘর।
তার আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষবার যাত্রী নিয়ে উড়তে পারে বিমানের এই ডিসি-১০।
অবশ্য ৩০ বছরের পুরনো একই মডেলের আরেকটি উড়োজাহাজ রয়েছে বিমান বহরে, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে মাত্র চার দিন পর, ১০ নভেম্বর।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির পরে বহরে থাকা দুটি ডিসি-১০ এর একটি বোয়িংয়ের জাদুঘরে গবেষণার জন্য দেয়া হবে। অন্যটি ১০ নভেম্বর থেকে গ্রাউন্ডেড করা হবে এবং স্থানীয়ভাবেই স্ক্র্যাপ করে ফেলা হবে।
”
যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনাল্ডস অ্যান্ড ডগলাস নির্মিত ডিসি-১০ মডেলের উড়োজাহাজ বর্তমানে বিশ্বের আর কোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ব্যাবহার করে না। এ কোম্পানির শেষ ডিসি-১০ তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
কেভিন স্টিল বলেন, “১৪ ফেব্রুয়ারি বিমান বহরে নতুন বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ এসে পৌঁছানোর কথা। সেটি পৌঁছালেই ডিসি-১০ টি শেষবারের মতো আকাশে উড়বে। ফেব্রুয়ারিতেই সেটি নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাজ্যে।
সেখানে এভিয়েশন সংশ্লিষ্টদের জন্য কয়েক ঘণ্টা রেখে নিয়ে যাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ”
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালের ৭ জানুয়ারি বিমান বহরে প্রথমবারের মতো একটি ডিসি ১০ উড়োজাহাজ যুক্ত হয়, যার নাম রাখা হয় ‘নবযুগ’। দুই দিন পর ওই উড়োজাহাজ দিয়ে প্রথম ফ্লাইট চালায় বিমান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত তত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিমানের সঙ্গে বোয়িং একটি চুক্তি করে। সে অনুযায়ী বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনবে বিমান।
ওই চুক্তি স্বাক্ষরের সময়ই ডিসি-১০ উড়োজাহাজটি নিজেদের জাদুঘরের জন্য চায় বোয়িং কর্তৃপক্ষ।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “ডিসি-১০ উড়োজাহাজগুলোর লংজিভিটি বোয়িংয়ের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণেই তারা উড়োজাহাজটি নিয়ে গবেষণা করতে চায়। ”
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ১৯৬৫ সালে স্থাপিত বোয়িংয়ের ‘মিউজিয়াম অব ফ্লাইটস’ এ বর্তমানে দেড়শর বেশি উড়োজাহাজ রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ দর্শনার্থী এ জাদুঘর ঘুরে দেখেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।