নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর একটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে পালানোর সময় গণপিটুনিতে লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দুর্ধর্ষ মুন্না বাহিনীর প্রধান মোসলেহে উদ্দিন মুন্না নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটণা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে ৩ এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধসহ মোট ৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় বুধবার বিকালে সোনাইমুড়ী থানায় ৩ টি মামলা হয়েছে । এলাকাবাসি জানান, উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের থানারহাট বাজারে তিনটি মটর সাইকেল যোগে ৬ জন ডাকাত প্রথমে ফাঁকা গুলি করে আতংকের সৃষ্টি করে ।
এক পর্যায়ে ডাকাত দল একটি স্বর্ণের দোকানে ঢুকে স্বর্ণালংকার লুট করে স্থান ত্যাগ করে। ডাকাতির সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী মাওতলা গ্রামে রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতদের পথ রোধ করে এলাকাবাসী। এ সময় ডাকাতরা মটরসাইকেল ফেলে গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। গুলিতে তিন এলাকাবাসী গুলি বিদ্ধসহ মোট ৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তিনটি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
বাহারকোর্ট দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মোসলেহে উদ্দিন মুন্না (৩৫) ডাকাতকে জনতা ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তবে লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগ এটাকে ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী বলেন, ঘটনাটি সাজানো নাটক। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ীতে ছাত্রলীগের সাথে শিবির ও বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে।
এ খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের আলামিন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও শিবির কর্মীরা মুন্নাকে ডাকাত বলে আটকে রাখে এবং গনপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। সে কখনও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো না।
এলাকাবাসী জানান, লক্ষীপুর জেলার সদর উপজেলার উত্তরজয়পুর ইউনিয়নের রাজারাম ঘোষ গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের পুত্র সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোসলেহে উদ্দিন মুন্না (৩৫) ৯৬ সালে মুন্না বাহিনী গঠন করে। তারপর থেকে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, দখলসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে মুন্না।
তার নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
লক্ষীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, নিহত মুন্নার বিরুদ্ধে লক্ষীপুর থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ৫ টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে, সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ জানান, নিহত মুন্না ডাকাতি, খুন, চাদাবাজি, ধর্ষন, অস্ত্র আইনসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামী। সে আঞ্চলিক ডাকাত সর্দার। এ ঘটনায় ইয়াছিন নাকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া ৩ টি মামলা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।