নতুন করে আর সংলাপের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘দুই নেত্রীর ফোনালাপের মাধ্যমে সংলাপ হয়ে গেছে। আমাদের নেত্রী বলেছেন, সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। বিরোধী দল বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
নতুন করে আর কী বলতে হবে?’
নাসিম বলেন, ‘আমাদের পাঁচ বছরের একটি যুদ্ধ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। গত নির্বাচনে আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করব। ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। আন্তর্জাতিকভাবে এখানেও এ বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে।
এটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে। এ সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হবে। ’ তিনি বলেন, একটি শক্তি মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধাপরাধীদের মুখের কথা বলে। জামায়াতের এজেন্ডা এখন বিরোধী দলের এজেন্ডা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বিরোধী দল হরতালকে গণতান্ত্রিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।
ইস্যুবিহীন হরতাল দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে।
ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামী নির্বাচন শুধু ক্ষমতা হস্তান্তর করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হবে আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশে থাকবে, নাকি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ৭১-এর মতো তাণ্ডব চালাবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি কে এম সফিউল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সাংসদ মমতাজ বেগম, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অজয় রায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।