হরতালের কারণে রাজধানীতে পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। সাত দিনের ব্যবধানে বেড়েছে চাল, ডাল, লবণ, ভোজ্যতেল ও আলুর দাম। মানভেদে চাল কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। কমেছে সব ধরনের সবজি ও পিয়াজের দাম। কোনো কোনো সবজিতে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।
ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে বেড়েছে দুই টাকা। বেড়েছে আলুর দাম। গতকাল খোলা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। তবে ইলিশ মাছের দাম এখনো নাগালের মধ্যে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বারিধারা বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
বাজারে আসা ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান, কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে বিভিন্ন বাজারে মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহের ৩৫০ টাকার ধনেপাতা গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকায়।
বারিধারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল ছোট আকারের ফুলকপি ২০, লাউ মাঝারি ৫০ ও মাঝারি বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি বরবটি ৫০, মুলা ৩৫, শসা ৩৫, সিম ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া বেগুন ৫০, করলা ৬০, ঢেঁড়স ৬০, কাঁকরোল ৬০, ঝিঙ্গা ৫০ ও চিচিঙ্গা ৫০ ও টমেটো ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। গতকাল বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায়, ৫ লিটার ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আদার দাম প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা-ময়দার কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা কমেছে। মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১১৫, অ্যাংকর ডাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। গতকাল মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০, পাইজাম ৫২ থেকে ৫৫, নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৫৮, লতাশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ বেশি থাকায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের এক কুড়ি কৈ ২৮০, শিং ৩০০ থেকে ৩৫০, রুই (বড়) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩২০, কাতল ২০০ থেকে ২২০, নলা ১২০ থেকে ১৫০, বাইল্যা (বড়) ৩২০, ছোট ২৫০, পুঁটি (বড়) ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। পাশাপাশি ডিমের দাম কমেছে। গতকাল এক হালি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ২৮ টাকায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।