আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরাফাত হত্যার সন্দেহভাজন ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুতে একমাত্র সন্দেহভাজন মনে করা হচ্ছে ইসরায়েলকে। গতকাল পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ নগরীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি কমিটির প্রধান তৌফিক তিরাবি বলেন, ইসরায়েল হচ্ছে আরাফাত হত্যা মামলার প্রধান ও একমাত্র সন্দেহভাজন। মামলার সব খুঁটিনাটি বিষয় ও উপাদান খুঁজে বের করা এবং এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব। উচ্চ মাত্রার তেজষ্ক্রিয় পলোমিয়াম প্রয়োগেই আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে সুইস প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশের পর এই বক্তব্য দিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তবে ইসরায়েল এই অন্তর্ভুক্তির কথা অস্বীকার করেছে। এদিকে কমিটির প্রধান এই হত্যাকাণ্ডকে 'গুপ্তহত্যা' হিসেবে অভিহিত করেছে। তার স্ত্রী সুহা আরাফাতও সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গুপ্তহত্যা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, তার প্রয়াত স্বামীর বিশ্বজুড়েই শত্রু ছিল। নির্দিষ্ট কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ইসরায়েলকে সন্দেহ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার স্বামী গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে ইসরায়েলকে নির্দিষ্ট করে দোষারোপ করতে নারাজ তিনি। সুহা বলেন, সবাই ইসরায়েলকে দোষারোপ করছে। কিন্তু আমি তা করতে পারি না। এই বিষয়ে কোনো উপসংহারেও পেঁৗছতে চাই না'। ২০০৪ সালে পশ্চিম তীরের প্রেসিডেন্ট ভবনে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে প্যারিসের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরাফাতকে এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এদিকে ফিলিস্তিনি তদন্তকারীদের কাছে এখনো নিশ্চিত নয় কীভাবে আরাফাতের দেহে এই বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করানো হলো। তিনি ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং সহযোগীর নিরাপত্তা হেফাজতেই ছিলেন। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের প্রাণপ্রিয় এই নেতা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে পিএলওর নেতা ছিলেন। তিনিই ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রেসিডেন্ট। বিবিসি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.