আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৌমাছি ও বাংলাদেশ

মমমমমম

মৌমাছি কে বলা হয় পতঙ্গ জগতের সবচেয়ে সামাজিক । এদের জীবন খুবই নিয়মতান্ত্রিক । পরিশ্রমে এদের জুড়ি পতঙ্গ জগতে নেই। এখানে সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত, কেউ কারো সাথে কোন গোলামাল নেই। সবাই রানীর হুকুম তামিলে ব্যস্ত ।

রানী হল সর্বেসর্বা তার কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটায় এমন কেউ চাকে নেই। সকল সেবা কেবল রানীর জন্য। পুরুষেরা এখানে কেবল বংশ রক্ষার জন্য, আর শ্রমিকের কাজ কেবল মধু জোগাড় করার জন্য আর তা ভোগ করে রানী। সব কথার এক কথা চাকে একজনই কিন্তু রানী থাকবে , নতুন রানীর জন্ম হলে পুরাতন রানী হুল ফুটিয়ে মেরে ফেলে তাই চাকে সহজে নতুন কোন রানীর জন্ম হয় না । যদি কোন রানী বেচে যায় তাহলে সে কিছু অনুসারী নিয়ে অনেক দূরে যেয়ে চাক গড়ে তোলে।

আমাদের দেশে দুই রানী বর্তমান, আর আমরা সাধারন জনগন হলাম শ্রমিক মৌমাছির লাহান। আমাদের দেশের সাধারন জনতার কাজ হল তাদের জন্য প্রানান্ত কাজ করে মধু জোগাড় করে দেওয়া। আমরা করে যাচ্ছি সেই কাজ মুখ বুঝে। আগেই বলেছি যে চাকে এক সাথে দুই রানী বর্তমান থাকতে পারে না তেমন ভাবে আমাদের বাংলাদেশ নামের চাকে কেবল একজন রানীই বর্তমান থাকবে । এখানে কেউ কাউকে সহ্য করবে না।

একজন আর একজন কে হুল ফুটিয়ে মেরে ফেলতে পারলে খুশি, বাস্তবিক ব্যাপার হল আমরা মৌমাছি না । মৌমাছি হলে এত দিনে হুল ফুটিয়ে দিত একে অপরকে। কিন্তু এরা যা করে বেড়ায় সেটা মৌমাছিদের থেকে জঘন্য। কিন্তু প্রশ্নটা হল আমরা কোন পতঙ্গ না বা মৌমাছি না । আমাদেরকে কেন মৌমাছির মত আচারন করতে হবে।

আমরা কি কেবল চাকের শ্রমিক মৌমাছির মত খেটে যাব না নিজেদের দিকে ভেবে দেখব। রানীদের সেবা করতে করতে আমরা আজ ক্লান্ত। মানুষ হয়েও আমরা আজ মানুষের আচরন করতে পারছি না। নানা মত নানা দল থাকবে এবং একে অপর কে সহ্য করতে হবে তা না হলে আমরা জাতি হিসাবে আত্মমর্যাদাশীল হিসাবে দাড়াতে পারব না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।