সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউটিউব ব্লগ পোস্টের অধিকাংশ মন্তব্যে ব্যবহারকারীদের ক্ষোভ ঝরতে দেখা গেছে।
সেপ্টেম্বর মাসে গুগল ঘোষণা করে, ইউটিউবে মন্তব্য করার জন্য ভিডিও শেয়ারিং সাইটটির অ্যাকাউন্টের সঙ্গে গুগল প্লাসের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকতে হবে। ঘোষণাটি কার্যকর হয় মঙ্গলবার থেকে।
ইউটিউব ব্লগ পোস্টে প্রকাশিত ঘোষণাতে প্রায় ৩০ হাজার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন। অধিকাংশের মন্তব্যেই ছিল ক্ষোভ ও বিরক্তি।
গুগলের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদস্বরূপ অনলাইন পিটিশন সাইট চেইঞ্জ ডটঅর্গ-এ বেশ কয়েকটি অনলাইন পিটিশন করা হয়েছে। এর একটিতে ৫০ হাজার ব্যবহারকারী সমর্থন করেছে। ইউটিউবের পুরনো মন্তব্য ব্যবস্থা বহাল রাখার আহ্বানও জানানো হয়েছে কয়েকটি পিটিশনে।
পিটিশনের সর্ব্বোচ্চ সমর্থন পাওয়া মন্তব্যটিতে জেমস গ্যান্ডোলফিনি লিখেছেন, “মন্তব্য দেখার জন্যই ইউটিউব প্রতিদিন চেক করি। সেই প্রয়োজনটি এখন আর নেই।
”
একই বিষয়ের অরেকটি পিটিশনে ডাস্টিন উইলসন মন্তব্য করেন, “আমার প্রকৃত নামের বিপরীতে ইউজারনেইম পাওয়া বেশ কঠিন। আর এটি আমাকে বাধ্য করছে বিশ্বের কাছে আমার নাম প্রকাশ করার। যা বড় কিছু সমস্যার সৃষ্টি করবে। ”
এই পরিবর্তনে ব্যবহারকারীদের ক্ষোভের সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে, প্রকৃত নাম ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে গুগল প্লাস। কিন্তু ইউটিউবের মন্তব্যকারীরা তাদের প্রকৃত নাম গোপন রাখতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে ইউটিউবের সহপ্রতিষ্ঠাতা জাওয়াদ করিমও ক্ষোভ জানিয়েছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি লিখেছেন, “কেন আমাকে গুগল প্লাস ব্যবহার করে একটি ভিডিওতে মন্তব্য করতে হবে?”
এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিডিও প্রদানকারীরা মন্তব্যকারীদের উপর জোরালো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে এখন থেকে। ভিডিও প্রদানকারী চাইলে যে কাউকে ব্লক করতে পারবেন। এছাড়া মন্তব্যর ক্ষেত্রে একটি শব্দের তালিকা তৈরি করে সে অনুযায়ী তা প্রকাশের ক্ষমতা সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এমন ব্যবস্থা প্রচলনে গুগলের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের সব সেবার অবলম্বন হিসেবে গুগল প্লাসকে প্রতিষ্ঠা করা বলে জানিয়েছে সিএনএন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।