চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানাধীন এ কে খান মোড়, সাগরিকা ও কর্নেলহাট প্রভৃতি এলাকায় আজ রোববার সকালে পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ককটেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ কে খান মোড়ে পিকেটাররা কয়েকটি রিকশা ভাঙচুর করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
একপর্যায়ে পিকেটাররা পাহাড়তলীর ইস্পাহানি গেটের কাছে রেললাইনের স্লিপারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় এবং পাহাড়িকা ও ঢাকা মেইল নামের দুটি ট্রেন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিলে তারা অলঙ্কার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করে। পুলিশ হরতালকারীদের বাধা দিলে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে র্যাবও যোগ দেয়।
এরপর হরতালকারীরা সাগরিকা এলাকায় গিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সাড়ে নয়টার দিকে পিকেটাররা বাইরে থেকে কাঠ-খড় এনে রেললাইনের স্লিপারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর রেললাইনে মেরামত করা হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আটকে পড়া ট্রেন দুটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, সকাল আটটা থেকেই পিকেটাররা এ কে খান মোড়, সাগরিকা ও কর্নেলহাট এলাকায় ককটেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের দুজন সদস্য আহত হন।
সংঘর্ষে পিকেটাররা কেউ আহত হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি ওসি। তবে তিনি বলেছেন, ককটেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।