কখগঘ
আমি একটা ইউনির্ভাসিটির হলে থাকি, আসলে এখানে মা-বাবা ছেড়ে আমরা একটা পরিবারের মত বাস করতাম, আপাতত এখানে লেখাপড়া শেষ, হল ছাড়ার ও সময় হয়ে গেছে, সিনিয়র রা আগেই হল ছেড়ে দিয়েছে, বন্ধুরাও হল ছাড়া শুরু করেছে,.....
হলে আমার একটা বিড়াল আছে, পাবলিক হল--- সেহেতু আমাকে খুব একটা টেক-কেয়ার করতে হয় না, আমার বিড়াল টা বেশ সুন্দর, সাদার উপর হালকা কমলা কালারের কিছুটা লম্বা লোম। মিউ মিউ সাহেব খাবারের বেপারে খুবই চুজি, তিনি সবকিছু খান না, মা-মাংস, কাটা-কুটি এসবই খান, আমি দেড়িতে খাইতে যাই, তাকে খুজি......সে থাকে না, কিছুক্ষন পর পায়ে একটা গুতা মানে মিউ মি্ুউ হাজির। হলে সে ঢের ভালো আছে......কিন্তু আমি চাতছি, যে বাসায় উঠবো, ওখানে বিড়ালটি কে নিয়ে যাবো....এটা যখন ভাবছি, একটা দু:চিন্তা ও মাথায় বাসা বাধছে, সেটা হলো, মিউ মিউ সাহেব তো হলে বেশ ভালো আছে, তার আছে আনলিমিটেড স্বাধীনতা, এর সাথে আছে হল নামক বিশাল একটা পরিসর। কিন্তু এসব ছেড়ে যখন আমি তিন রুমের বাসায় বন্দি করে রাখবো, সেটা কি ওর ভালো হবে ! বুঝলাম বিড়াল টা কে আমার অনেক ভালো লাগে, কিন্তু এই যান্ত্রিক জীবনে আমি আসলেই কি তাকে টাইম দিতে পারবো বা টেক-কেয়ার করতে পারবো !
সামু কে আমার পরিবার বলে প্রিয় বিড়াল টা কে কেন টেনে আনলাম !
আসলে পার্সনাল লাইফে ও আমার একটা মানবী বিড়াল আছে, সে আমার সবচেয়ে বড় প্রেরনা, আমি গতি, সে আমার জীবনীশক্তি, আমার সবচেয়ে আনন্দদায়ক-আকষনীয় পার্সনালিটি (যদিও আজও সামনা-সামনি তাকে দেখিনি, যদিও সে আমাকে দুইচোক্ষে টলারেট করতে পারে না !) তারও আছে আনলিমিটেড স্বাধীনতা । কিন্তু তাকে নিয়ে যখন ভাবি, আমার মাঝেও একটা দু:চিন্তা মাথায় বাসা বাধছে, সেটা হলো, ও তো হলে বেশ ভালোই আছে, আমার চরম বাজে লাইফ-স্টাইল টা কি ওকে কষ্টের ফেলে দিবে ! বুঝলাম ও কে আমার অনেক ভালো লাগে, কিন্তু এই যান্ত্রিক জীবনে আমি আসলেই কি তাকে টাইম দিতে পারবো বা টেক-কেয়ার করতে পারবো !
আসলে আমার মানবী বিড়ালের সাথে পরিচয়টা কিন্তু এই সামুতেই, এই হেতু সামু আমার পরিবারের মত !!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।