আমি স্বাধীনচেতা,স্পষ্টভাষী। গত একযুগে সরকারী হিসাব মতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১০০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিএসএফ প্রতিবারই হত্যাযজ্ঞের পর পতাকা বৈঠক করে বিভিন্ন অযৌক্তিক কারন দর্শায়। হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আবার পতাকা বৈঠক কে কাচকলা দেখিয়ে সীমান্তে হত্যা চালু রাখে।
এই নতুন বছরের শুরুই হয়েছে সীমান্তে দুই বাংলাদেশীকে হত্যা দিয়ে। বরাবরের মত পতাকা বৈঠক এবং পরদিনই আরও দুই বাংলাদেশীকে সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যায়।
আমাদের সরকার মুক্তিযুদ্ধের সরকার হলে কি এটার একটু শক্ত প্রতিবাদ করা দরকার ছিলনা? শুধু কি বিএসএফ এরই আত্মরক্ষা করা লাগে? আমাদের বিজিবি ও তো সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী, আমিতো শুনিনি কখন তারা আত্মরক্ষার জন্য সীমান্তে ভারতীয়দের হত্যা করেছে। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি কি তাহলে এতই দুর্বল? যদি বাংলাদেশীরা সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেও, তার শাস্তি কি মৃত্যুদণ্ড? নাকি নিরপরাধ বাংলাদেশীদের নির্যাতন কে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই এই হত্যা? আমিতো কখন দেখিনি কোন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী অথবা গরু পাচারকারীরা বিজিবির হাতে খুন হয়েছে।
ওইদিন এক জাতীয় দৈনিকে দেখলাম যে সীমান্তে ভারতীয় গুপ্তচর গ্রেফতার হয়েছে বিজিবির হাতে।
তারমানে কি ভারতীয়রা গুপ্তচরগিরির জন্য এজেন্ট পাঠালে তা অপরাধ না আর বাংলাদেশীরা গরুকে ঘাস খাওয়াতে গেলে তা মৃত্যুদণ্ড যোগ্য অপরাধ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।