বয়স নয়, মানুষকে বিচার করতে হবে তার যোগ্যতা দিয়ে—এমনটাই মনে করে বিস্ময়বালিকা সুষমা ভার্মা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ভারতের লক্ষৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে এখন স্নাতকোত্তর পড়ছে ছোট্ট এ মেয়েটি।
আজ শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক সাক্ষাত্কারে সুষমা জানায়, তার বাবা একজন দিনমজুর, মা গৃহবধূ। তাদের টানাটানির সংসারে কেবল সুষমাই নয়, আরও একজন বিস্ময়বালক রয়েছে। সে সুষমার বড় ভাই শৈলেন্দ্র ভার্মা।
মাত্র নয় বছর বয়সে দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়েছে শৈলেন্দ্র। ১৪ বছর বয়সে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছে।
শৈশব থেকেই সুষমাকে পড়শোনায় অনুপ্রাণিত করে শৈলেন্দ্র। তখন থেকে বই তার নিত্যসঙ্গী। এমনকি শৈলেন্দ্রের পড়ার বইও একে একে সব পড়ে ফেলত সে।
ভাইয়ের পরামর্শমতো মাত্র সাত বছর বয়সে দশম শ্রেণী পার হয়েছে সুষমা। তারপর পড়াশোনার সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে উঠে গেছে আরও ওপরের দিকে।
সুষমার মতে, তার সব সাফল্যের পেছনে রয়েছে বড় ভাই শৈলেন্দ্রের অনুপ্রেরণা। অভাবের সংসারে তাদের দুই ভাইবোনকে অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তবে পড়াশোনার যাতে ক্ষতি না হয়, এ জন্য অনেকেই তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ সুষমা।
সুষমার স্বপ্ন অনেক বড় চিকিত্সক হয়ে মানুষের সেবা করবে। তবে ১৭ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না সুষমা। তাই এ সময়ের মধ্যে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি সেরে ফেলতে ইচ্ছুক।
তবে ১৭ বছর বয়সের আগে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারার বিষয়ে ক্ষোভ রয়েছে সুষমার।
এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পায়নি সে। তাই ক্ষোভের মাত্রাটা আরেকটু বেশি। সুষমা মনে করে, ভর্তি পরীক্ষায় বয়স নয়, যোগ্যতা ও মেধা বিবেচনা করা উচিত।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।