আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের সবজি দামে ‘গরম’

দাম বেশি হওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুর দিকে সবজির দাম সবসময়ই একটু বেশি থাকে। তবে এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে হরতালের কারণ।
আর বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কথা বলছেন ক্রেতারা।
গত কয়েক সপ্তাহের টানা হরতালে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সবজি আসেনি। এতে শুধু ক্রেতারাই নন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষি থেকে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত সবাই।


এই কারণে সবজির বাজার চড়া বলে মনে করেন যাত্রাবাড়ী পাইকারি সবজির আড়ৎ মোল্লাহাট বাণিজ্যালয়ের মালিক মনিরুজ্জামান।  
অবশ্য আগামীতে আর হরতাল না থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে সবজির দাম কমে আসবে বলেও মনে করছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ী পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা টমেটো ৪২ থেকে ৪৬ টাকা দরে বিক্রি হয়। সিম বিক্রি হয় ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়। মূলা ১৮ থেকে ২০ টাকায়।

ফুলকপি প্রতিটা ২০ থেকে ২২ টাকা, বাঁধাকপিও কাছাকাছি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ঢেঁড়সের কেজি ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা।
পালং শাক, লাল শাক, মূলা শাকের ছোট ছোট আঁটি পাইকারি পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে কিছুটা দূরে গোপীবাগ কাঁচাবাজারে যেতেই পাল্টে যায় দামের হিসাব। প্রায় প্রতিটি কেজি প্রতি কমপক্ষে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে সেখানে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেজিতে ২০ টাকা বেশি দরেও বিক্রি হতে দেখা যায়।
সিম প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয় গোপীবাগ রেলগেইট বাজারে। এছাড়া কাঁচা টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও তুলনামূলক বেশি বলে জানান ক্রেতারা।
এই বাজারে সবজি কিনতে আসা জামাল ফকির বলেন, “সব কিছুরই তো দাম বেশি।

নতুন আর পুরনো কি? ডাল, আলুর দাম এখন বাড়ছে। অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বেশি। একজন হরতাল দিচ্ছে, আরেকজন সরকার চালাচ্ছে। কোনো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলে যা হয়, তাই হচ্ছে। ”
পাইকারি ব্যবসায়ী মিরাজ আহমেদ বলেন, এই মাসে বেশিরভাগ সময় হরতাল থাকায় চাষিরা জমি থেকে সময়মত সবজি তুলতে পারেননি।

পাইকার ও ফড়িয়ারাও সবজি কেনেননি। ফলে জমিতেই অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব সবজি চাষ হয় তা সময়মত জমি থেকে তোলা না হলে এক-দুদিনের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চাষি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
“এখন চাষিরা চাইছেন ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে।

সেজন্য দামটাও একটু বেশি পড়ছে। ”
বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো চড়া। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি বাড়তে শুরু করেছে আলু, রসুন ও মশুর ডালের দাম। প্রতি কেজি আলু ১৮ থেকে ২২ টাকা, রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও মশুর ডাল কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।


তবে কমছে ডিম, আদা, ভোজ্যতেল ও ব্রয়লার মুরগির দাম।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।