১৯৫০ সালের বিশ্বকাপটা এখনো একটা বেদনাদায়ক স্মৃতি হয়েই আছে ব্রাজিলিয়ানদের মনে। প্রথমবারের মতো নিজ দেশে আয়োজিত এই বিশ্বকাপ জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছিল সেলেসাওদের। মারাকানা স্টেডিয়ামে উপস্থিত লাখো সমর্থককে কাঁদিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মেতেছিল উরুগুয়ে।
এবার ৬৪ বছরের পুরোনো সেই স্মৃতি ভোলানোর মিশনটাই বর্তেছে নেইমার-ফ্রেড-অস্কারদের কাঁধে। গুরুদায়িত্বটা ঠিকঠাক অনুধাবনও করেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্বপ্নের অন্যতম ভরসা নেইমার।
আগামী বছরের বিশ্বকাপ জেতাটা ব্রাজিলের জন্য ‘অবশ্য কর্তব্য’ বলেই মনে করছেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
বিশ্বকাপের মহড়া প্রতিযোগিতা কনফেডারেশনস কাপ জিতে ইতিমধ্যেই নিজেদের সক্ষমতার কথা জানান দিয়েছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ জয়ের প্রত্যাশার ভার বহন করার সামর্থ্য যে আছে, সেটা প্রমাণ করেছেন নেইমারও। কনফেডারেশনস কাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটা উঠেছে ব্রাজিলের এই বিস্ময়প্রতিভার হাতেই। তবে নেইমারের কাছে বিশ্বকাপ শিরোপাটা হাতে নেওয়াই চূড়ান্ত লক্ষ্য।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ শিরোপা জেতাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানি যে আমাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকবে। কিন্তু এটা আমাদের জন্য একটা অবশ্য কর্তব্য। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। ’
বিশ্বকাপের স্বাগতিক দল বলে বাছাইপর্বে খেলতে হচ্ছে না ব্রাজিলকে।
প্রীতি ম্যাচ খেলেই সারতে হচ্ছে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। তবে এই ম্যাচগুলোও নেইমাররা খেলছেন বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বের লড়াই মনে করেই, ‘আমরা সবগুলো প্রীতি ম্যাচই খেলেছি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের খেলা মনে করে। প্রতিটা ম্যাচই আমাদের কাছে একেকটি ফাইনাল। সবগুলোই আমরা খেলছি জেতার জন্য। ’
জয়ের অভ্যাসটাই বোধ হয় তৈরি করছেন নেইমাররা।
আজ রাতে হন্ডুরাসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আছে ব্রাজিলের। চার দিন পর আরেকটি ম্যাচ আছে চিলির বিপক্ষে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।