আমি খুবই সাধারণ বলছি জার্মানি এবং ব্রাজিলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচের কথা৷ বুধবার রাতে জার্মানির স্টুটগার্টে মুখোমুখি হয় দু'দল৷ দু'দলের ২১তম লড়াইয়ে চতুর্থ জয় পেল স্বাগতিকরা৷ ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে গিয়েছিল জার্মানি৷ পরাজয়ের এমন রেকর্ড দেখার পর জার্মান কোচ ইওয়্যাখিম ল্যোভ'এর পক্ষে দল সাজানো বেশ কঠিন ছিল৷ তবে, বিশ্বকাপের মতো এবারও ব্রাজিলের বিপক্ষে এক তরুণ দল মাঠে নামালেন জার্মান কোচ৷ ফলাফল সবার জানা৷ ৩-২ গোলে জয় পেল জার্মানি৷ খেলার প্রথমার্ধ অবশ্য গোলশূণ্য ভাবেই শেষ হয়৷ দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম গোলটি আসে ৬১ মিনিটে৷ পেনাল্টি কিকে গোল করেন বাস্তিয়ান শোয়ানস্টাইগার৷ এরপর দ্বিতীয় গোলটি আসল ১৯ বছর বয়সি গোত্সে'র পা থেকে৷ ঠিক ৬৫ মিনিটের মাথায় তাঁর এই গোল ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে৷ খোদ কোচ ল্যোভ বলেছেন, তাঁর নিজস্ব কিছু দক্ষতা রয়েছে৷ মাঠে ঠিকই একটা সুযোগ বের করে নিতে পারেন৷ যাহোক, ৭১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি শট থেকে গোলশোধের সুযোগ পায় ব্রাজিল৷ রবিনহো অসাধারণ দক্ষতায় সে সুযোগ কাজে লাগান৷ এরপর আবারো জার্মান তরুণদের আক্রমণ, খেলার ৮০ মিনিটে স্বাগতিকদের হয়ে জালে বল জড়ান আন্দ্রে সুরলে৷ এই গোলের পর খেলাটা কেমন যেন একপাক্ষিক হয়ে যাচ্ছিল৷ তবুও শেষ মুহূর্তে খেলার ৯২ মিনিটে ব্রাজিলের পক্ষে আরেকটি গোল করেন নায়মার৷ এই জয়ের পর তরুণ দল নিয়ে উচ্ছ্বসিত ল্যোভ বলেন, ‘‘আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি, কেননা দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার হাতে অনেক সুযোগ রয়েছে৷'' তাই ভবিষ্যত জার্মান জাতীয় দল নির্বাচনে তরুণদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে, এমনই আভাষই দিলেন ল্যোভ৷ তবে ১৯ বছর বয়সি মারিও গোৎসে এখনই সম্ভবত জাতীয় দলে পাকা আসন পাচ্ছেন না৷ বুধবারের ম্যাচে মেসুট ওজিলের অনুপস্থিতির কারণে দলে জায়গা হয়েছিল তাঁর৷ সর্বশেষ বিশ্বকাপে জার্মান দলের অন্যতম সফল তারকা ছিলেন ওজিল৷ তাই, মধ্যমাঠে এখনই তাঁর জায়গা গোৎসে'র পক্ষে দখল সম্ভব নয় বলেই মত ফুটবলবোদ্ধাদের৷ উল্লেখ্য, জার্মানি-ব্রাজিলের এই খেলায় অংশ নিয়ে জাতীয় দল থেকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মিশায়েল বালাককে৷ জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি৷ কারণটা অবশ্য কোচ এর সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য৷ কোচ ল্যোভ পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, ‘‘বালাক আর আমাদের কোন ইস্যু নয়''৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।