আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুলাঙ্গার কু সিদ্দিকি ।

সৎ ভাবে চলা। দেশের জন্য কাজ করা। অপরের সাথে শেয়ার করা।

আজ শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উদ্যোগে ভোট-ডাকাতি প্রতিরোধ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এক জনসভায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জনসভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর, বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিকল্প ধারার সাধারণ সম্পাদক মেজর অব. আবদুল মান্নান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, শামীম আল মনসুর সিদ্দিকী, বেগম নাসরিন সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

এবং সভাপতিত্ব করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী । গত কয়দিন এই কুলাঙ্গার কু সিদ্দিকি এই সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে এবং সর্বদলীয় সরকারের বিপক্ষে ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে সব দলের সমাবেশের চেষ্টা চরমভাবেই ব্যর্থ হল । কারন এই সমাবেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, গণফোরামের সভাপতি ড কামাল হোসেন, জাসদের সভাপ্তি আ, স, ম, আব্দুর রব, নাগরীর ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ইসলামী আন্দোলনের চরমোনাই পীর সহ বাংলাদেশসহ আরো কোন রাজনিতিক দলের নেতা যায়নি । তবে এর ভিতর দুইটি ঘটনা ঘটেছে – ১/ বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে বলছেন, নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ছাড়াও মাঝামাঝি কোন উপায় নিয়ে সমঝোতার সুযোগ 'অবশ্যই আছে' - কিন্তু তার জন্য আলোচনা হতে হবে, যা সরকারি দলের সদিচ্ছা থাকলেই কেবল সম্ভব হতে পারে। ২/ উক্ত জনসভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারার চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী যা মিথ্যাচার করেছেন তা হচ্ছে এই রকমঃ ক/ “পাঁচ বছরে সরকার ১২ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িযেছে।

তেল গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে অনেকবার”, এটা মিথ্যাচার । আসল কথা হল একবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় নি – এ সরকার । এবং যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে এখনও বিদ্যুতের দাম অনেক কম । খ / “১১০-১২০ টাকায় পেঁয়াজ খাই”। - এই দাম তো হরতালের কারনেই বাড়ল ।

গত দুই মাস আগেও ৩৫ টাকায় পেঁয়াজের কে জি প্রতি দাম ছিল । গ / “কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য দেয়নি”। - বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২ বছরে এই পাঁচ বছরই সব চেয়ে ভাল ছিল – এই কৃষকেরা এবং কম দামে সার পেয়েছে এবং ন্যায্য মূল্য ফসল বিক্রি করেছে বা দাম পেয়েছে। তা হলে এ সব ব্যাপারে মিথ্যাচার কেন ? ঘ / “আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করবো” । - বিএনপির শাসন আমলে নিজেই নিজের পদ রক্ষা করতে পারেনি ।

কোন ধরনের চাপ ছারাই – শুধু মাত্র হুমকির মুখে রাষ্ট্রপতির মত পদ ছেড়ে দিয়েছিল । সেই হিসাবে তিনি ব্যর্থ লোক । তাইতো বিএনপি রেল লাইনে প্রকাশ্যেই দাওয়া দিয়ে এবং লাঠি দিয়েই পিঠাই । তা সমগ্র বিশ্ববাসী দেখেছে । এই হামলা হাওয়া ভবনের নির্দেশেই হয়েছিল – তাও সবাই জানে ।

তাহলে – এই ধরনের মিথ্যাচারের উদ্দেশ্য কি ? শুধুই কি ছেলেকে নিজের আসনের এম পির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য । আগামী নির্বচনের মধ্যদিয়েই আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম কে এগিয়ে নিয়ে চাই । তাই এই নির্বাচনের ব্যাপারে রাজাকাদের দালালেরা বহু ষড়যন্ত্র শুরু হতে পারে । কিন্তু আমাদেরকে আমাদের মতই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । তাই সবাইকে অনুরুধ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সুনিশ্চিত করতে হবে ।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।