আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশুরার দিন কি শুধু নবী পুত্র নিহত হয়েছে?

স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম

ঐদিন ১০ই মহররম হযরত আলী (রা.) এর নয়ন মণি মা ফাতিমার কলিব্জার টুকরা ইমাম হুসাইনের স্বপরিবারের উনিশজন সদস্যসহ তাঁর বাহাত্তজন অনুসারীকে যে ভাবে ইয়জিদ বাহিনী কর্তৃক নির্মম ভাবে শাহাদত বরণ করতে হয়েছিল কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়কে যে ব্যথিত করবে তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আর তাই মুহরর্ম মাসের আগ মনে নতুন করে মুসলমানদের হৃদয়ের নিভৃর্তে মুহরর্মের নির্মম স্মৃতি যেন সকল ঐতিহাসিক ঘটনাকে ম্লান করে দেয়। ঈমানদার মাত্রই এহেন নির্মম ঘটনায় মর্মাহত হবে এবং হওয়াই ঈমানের দাবী। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, আমাদের কিছু সংখ্যক অজ্ঞ মুসলমান কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনাকে স্মরণ করে নিজেদের মনগরা কিছু কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে এই দিনের তাৎপর্যকে ক্ষুণ্ণ করে। ঐদিন তারা এজিয়া তৈরি করে পথ ঘাটে বুক সাবরিয়ে মাতম করে।

ইমাম হুসাইনের কৃত্রিম কবর তৈরি করে অনেসলামিক ‘কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। আসলে আশুরার দিনে যারা তাজীয়া তৈরি করে পথে প্রান্তরে পর্তন কুর্দন ও অন্যান্য অনৈসলামিক কমকান্ডের মাধ্যমে ইমাম হুসাইন (রা.) এর স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাকে লোক চোখে তুলে ধরতে চায় তা ইসলাম স্বীকৃত নয়। হযরত নবী করীম (সা.) মদীনা শরীকে হিজরত করে স্থানীয় ইয়াহুদীদের লক্ষ্য করলেন যে, তারা ১০ই মুহরর্মে রোযা রাখছে এবং আনন্দ-উৎসব করছে। হুজুর (সা.) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘কী ব্যাপার তোমরা আজকের দিনে রোযা রাখছ কেন?’ উত্তরে, আজকের দিনে আমাদের নবী হযরত মূসা (আ.) ফির আউনের অত্যাচার থেকে নাজাত পেয়েছিলেন আর ফির আউন তার দলবল সহ লোহিত সাগরে ডুবে মরেছিল। আল্লাহ্র কাছে তারই শোকরিয়া স্বরূপ আজকের দিন আমরা রোযা রাখি।

এ কথা শুনে নবী করীম (সা.) সাহাবীদেরকে বললেন ‘তোমরাও ১০ই মুহরর্মে রোজা রেখো। ’ তবে আমলের দিক দিয়ে এ ব্যাপারে ইয়াহুদীদের বিরোধীতা কর। অর্থাৎ মুসলিম স্বাতন্ত্র বজরায় রেখো আর তা হলো তোমরা দুটি রোযা রেখো একটি ১০ই মুহরর্ম দিনে আর একটি এর আগে বা পরে। (বুখারী মুসলিম ও আবু দাউদ) স্মর্তব্য, ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহরর্ম মাসের রোযা ছিল ফরজ। পরে মাহে রমযানের রোযা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য ফরজ হলে আশুরার রোযা মুস্তাহাবে পরিণত হয়।

(মুসলিম শরীফ) বস্ত্তত : অতীতে আশুরা দিবসে যে সব স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থেকে আমাদের চোখ বন্ধ রাখা সমীচীন হবে না। কেননা আদিকাল থেকে যুগে যুগে আশুরা দিবসে যে সকল ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কথা বিভিন্ন সূত্রে আমাদের কাছে পৌঁছে তা অস্বীকার করবার অবকাশ নেই। দৃষ্টান্ত স্বরূপ আমরা জেনেছি আল্লাহ্ রাববুল আলামীন যেদিন আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, জান্নাত-জাহান্নাম, লউহু মাহফুজ ও যাবতীয় সৃষ্টি জীবের আত্মাসৃজন করেন, সে দিনটি ছিল ১০ই মুহরর্ম তথা আশুরা দিবস। শুধু তাই নয় বরং আদম (আ.) এর সৃষ্টি ও তা …… দিন ও ছিল ১০ই মহরর্ম হযরত নূহ (আ.) এর জাহাজ ৮০জন সহচর নিয়ে যেদিন নিরাপদে জুদী প’বতে অবতরণ করেছিল সে দিনটিও ছিল ১০ই মুহরর্ম। এভাবে হযরত ইউসুফ (আ.) এর কুপ থেকে উদ্ধার।

আয়ুব (আ.) এর আরোগ্য লাভ, হযরত ইউনুস (আ.) এর মৎস উদর হতে মুক্তি লাভ। মূসা (আ.) এর পরিত্রাণ, হযরত ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন সে দিনটিতে সে দিনটিও ছিল ১০ই মুহরর্ম। শুধু কী তাই? বরং ঐদিন অর্থাৎ ১০ইং মুহররমেই হাশর ও কিয়ামত সংঘটিত হবে বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। ঐদিন ১০ই মহররম হযরত আলী (রা.) এর নয়ন মণি মা ফাতিমার কলিব্জার টুকরা ইমাম হুসাইনের স্বপরিবারের উনিশজন সদস্যসহ তাঁর বাহাত্তজন অনুসারীকে যে ভাবে ইয়জিদ বাহিনী কর্তৃক নির্মম ভাবে শাহাদত বরণ করতে হয়েছিল কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়কে যে ব্যথিত করবে তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আর তাই মুহরর্ম মাসের আগ মনে নতুন করে মুসলমানদের হৃদয়ের নিভৃর্তে মুহরর্মের নির্মম স্মৃতি যেন সকল ঐতিহাসিক ঘটনাকে ম্লান করে দেয়।

ঈমানদার মাত্রই এহেন নির্মম ঘটনায় মর্মাহত হবে এবং হওয়াই ঈমানের দাবী। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, আমাদের কিছু সংখ্যক অজ্ঞ মুসলমান কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনাকে স্মরণ করে নিজেদের মনগরা কিছু কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে এই দিনের তাৎপর্যকে ক্ষুণ্ণ করে। ঐদিন তারা এজিয়া তৈরি করে পথ ঘাটে বুক সাবরিয়ে মাতম করে। ইমাম হুসাইনের কৃত্রিম কবর তৈরি করে অনেসলামিক ‘কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। আসলে আশুরার দিনে যারা তাজীয়া তৈরি করে পথে প্রান্তরে পর্তন কুর্দন ও অন্যান্য অনৈসলামিক কমকান্ডের মাধ্যমে ইমাম হুসাইন (রা.) এর স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাকে লোক চোখে তুলে ধরতে চায় তা ইসলাম স্বীকৃত নয়।

হযরত নবী করীম (সা.) মদীনা শরীকে হিজরত করে স্থানীয় ইয়াহুদীদের লক্ষ্য করলেন যে, তারা ১০ই মুহরর্মে রোযা রাখছে এবং আনন্দ-উৎসব করছে। হুজুর (সা.) তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন ‘কী ব্যাপার তোমরা আজকের দিনে রোযা রাখছ কেন?’ উত্তরে, আজকের দিনে আমাদের নবী হযরত মূসা (আ.) ফির আউনের অত্যাচার থেকে নাজাত পেয়েছিলেন আর ফির আউন তার দলবল সহ লোহিত সাগরে ডুবে মরেছিল। আল্লাহ্র কাছে তারই শোকরিয়া স্বরূপ আজকের দিন আমরা রোযা রাখি। এ কথা শুনে নবী করীম (সা.) সাহাবীদেরকে বললেন ‘তোমরাও ১০ই মুহরর্মে রোজা রেখো। ’ তবে আমলের দিক দিয়ে এ ব্যাপারে ইয়াহুদীদের বিরোধীতা কর।

অর্থাৎ মুসলিম স্বাতন্ত্র বজরায় রেখো আর তা হলো তোমরা দুটি রোযা রেখো একটি ১০ই মুহরর্ম দিনে আর একটি এর আগে বা পরে। (বুখারী মুসলিম ও আবু দাউদ) স্মর্তব্য, ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহরর্ম মাসের রোযা ছিল ফরজ। পরে মাহে রমযানের রোযা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য ফরজ হলে আশুরার রোযা মুস্তাহাবে পরিণত হয়। (মুসলিম শরীফ) বস্ত্তত : অতীতে আশুরা দিবসে যে সব স্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে সেগুলো থেকে আমাদের চোখ বন্ধ রাখা সমীচীন হবে না। কেননা আদিকাল থেকে যুগে যুগে আশুরা দিবসে যে সকল ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কথা বিভিন্ন সূত্রে আমাদের কাছে পৌঁছে তা অস্বীকার করবার অবকাশ নেই।

দৃষ্টান্ত স্বরূপ আমরা জেনেছি আল্লাহ্ রাববুল আলামীন যেদিন আকাশ, বাতাস, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, জান্নাত-জাহান্নাম, লউহু মাহফুজ ও যাবতীয় সৃষ্টি জীবের আত্মাসৃজন করেন, সে দিনটি ছিল ১০ই মুহরর্ম তথা আশুরা দিবস। শুধু তাই নয় বরং আদম (আ.) এর সৃষ্টি ও তা …… দিন ও ছিল ১০ই মহরর্ম হযরত নূহ (আ.) এর জাহাজ ৮০জন সহচর নিয়ে যেদিন নিরাপদে জুদী প’বতে অবতরণ করেছিল সে দিনটিও ছিল ১০ই মুহরর্ম। এভাবে হযরত ইউসুফ (আ.) এর কুপ থেকে উদ্ধার। আয়ুব (আ.) এর আরোগ্য লাভ, হযরত ইউনুস (আ.) এর মৎস উদর হতে মুক্তি লাভ। মূসা (আ.) এর পরিত্রাণ, হযরত ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন সে দিনটিতে সে দিনটিও ছিল ১০ই মুহরর্ম।

শুধু কী তাই? বরং ঐদিন অর্থাৎ ১০ইং মুহররমেই হাশর ও কিয়ামত সংঘটিত হবে বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.