সত্য প্রকাশে আপোষহীন
আবার ইসলামের উপর আঘাত হলো বাংলাদেশে। আশুরার দিনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্লু ফিল্ম প্রদর্শন করা হলো এক ঘন্টা।
ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত না পরিকল্পিত তা পত্রিকার প্রতিবেদন থেকেই বোঝা যায় -
"বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকার টিভিতে বিজ্ঞাপনের বদলে শুক্রবার সকাল ১০টায় হঠাত্ ব্লু-ফিল্মের প্রদর্শন দেখে হতবাক হয় সবাই। সকাল ১১টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্লু-ফিল্ম প্রদর্শন এবং নারী কণ্ঠের অশ্রাব্য শব্দে অনেক যাত্রী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে লজ্জায় তড়িঘড়ি বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টরা খুঁজতে খুঁজতে ওই টিভির অপারেটিং রুমে গিয়ে দেখেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইউনিক লিমিটেডের অপারেটর নাজমুল হক ঘুমাচ্ছে।
সে নিজে ব্লু-ফিল্ম দেখার সময় ভুলে জ্যাক লাগিয়ে দেয় পার্কিং এলাকার প্লাজমা টিভিতে। ব্লু-ফিল্ম দেখার সময় অপারেটর নাজমুল ঘুমিয়ে পড়ে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়। "
আমার বিশ্লেষনঃ
আশুরার দিন মুসলমানদের জন্য বড়ই তাৎপর্যপূর্ন একটি দিন। আশুরার দিন কারবালা প্রান্তরে মানব ইতিহাসের যে নির্মম কাহিনী রচিত হয়েছিল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্লু ফিল্ম প্রদর্শন ইসলামবিরোধীদের সেই নির্মম কাহিনী বার বার মনে করিয়ে দেয়।
ইসলামবিরোধীরা টাকার লোভ দেখিয়ে অপারেটর নাজমুলকে দিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘন্টা ব্লু ফিল্ম প্রদর্শন করায়।
অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্লাজমা টিভি বন্ধ করা হয়নি।
ব্লু-ফ্লিম দেখতে দেখতে অপারেটর ঘুমিয়ে গেছে এবং তৎখনাত দুই মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে ব্যাপারটি নিছক চোখে ধুলো দেয়ার মতো - যাকে বলা হয় আই ওয়াশ। ইসলামবিরোধীদের কাজ কিন্তু হয়ে গেছে এই এক ঘন্টায়।
কিছু প্রশ্নঃ
১) কেবল কানেকশন বন্ধ করার আগে কি প্লাজমা টিভি বন্ধ করা যেত না? ২) আশুরার দিনে এক ঘন্টা ব্লু ফিল্ম প্রদর্শন কি ইসলামের প্রতি ইসলামবিরোধীদের আঘাত বলে আপনি মনে করেন না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।