বিদায়ী টেস্টে শচীন টেন্ডুলকারকে জয়ই উপহার দিয়েছে সতীর্থরা। চেতেশ্বর পুজারা, রোহিত শর্মা ও প্রজ্ঞান ওঝার নৈপুণ্যে ইনিংস ও ১২৫ রানে জিতেছে ভারত। আর এর মধ্য দিয়েই ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচিতে টেস্ট অভিষেকের ২৪ বছর পর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ক্রিকেটের মহাতারকা।
মোহাম্মদ সামির ইয়র্কারে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের স্টাম্প ভেঙে যাওয়ায় শেষ হয় অতিথিদের দ্বিতীয় ইনিংস। সঙ্গে শেষ হলো ক্রিকেটের অন্যতম উজ্জ্বল অধ্যায়েরও।
শেষ টেস্টের স্মারক হিসেবে টেন্ডুলকারও হাতে তুলে নিলেন একটি স্ট্যাম্প।
সাজঘরে ফেরার সময় ধোনির নেতৃত্বে পুরো দল যখন 'গার্ড অব অনার' দিচ্ছিল টেন্ডুলকারকে তখন কান্না চেপে রাখার চেষ্টা করেও পারেননি তিনি। মাথা নিচু করে ছিলেন হ্যাট দিয়ে চোখের জল আড়াল করার চেষ্টায়। তারপরও ক্যামেরায় ধরা পড়লো তাকে চোখ মুছতে।
দর্শকদের উদ্দেশে কথা বলতে গিয়ে বারবার গলা ভিজে আসছিল তার।
বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি একেরপর এক কৃতজ্ঞতা জানালেন বাবা-মা, চাচা-চাচী, দর্শক, গণমাধ্যম, সহকর্মী, স্ত্রী-সন্তান থেকে শুরু করে এই দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে জড়িয়ে থাকা প্রত্যেকটি মানুষকে আলাদা করে। পাশে তার পুরো পরিবার: স্ত্রী অঞ্জলী, মেয়ে সারা আর ছেলে অর্জুন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ছিল ভারতের 'ক্রিকেট ঈশ্বরের' সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজে দুই ইনিংসে ১০ ও ৭৪ রানের বেশি করতে না পারলেও দুই টেস্টেই বড় ব্যবধানে জিতেছে ভারত। কলকাতা টেস্টে স্বাগতিকদের জয় ছিল ইনিংস ও ৫১ রানে।
উল্লেখ্য, মুম্বাইয়ে বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ’ টেস্ট খেলা টেন্ডুলকার ৩২৯ ইনিংস ব্যাট করে ৫১টি শতক ও ৬৮টি অর্ধশতকসহ ১৫ হাজার ৯২১ রান করে তার ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।