ঝালকাঠিতে বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৬ নেতাকর্মী নামধারী ও অজ্ঞাতসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বাস ভাংচুর, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে ঝালকাঠি থানায় এসআই গৌতম কুমার ঘোষ বাদী হয়ে আজ এ মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি, যুব বিষয়ক সম্পাদক রবিউল হোসেন তুহিন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি এলিন সরদার, বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম মাতুব্বর, ফরিদ রাঢ়ি, বাবুল শরীফ, রিয়াজ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এনামুল হক সাজু, যুগ্ম-আহবায়ক তাজুল ইসলাম, ছাত্রদলনেতা হেদায়েতুল ইসলাম সোহেল, শাহিন খান, কেশব সুমন, যুবদলনেতা সন্তু পাল, আল মাকসুদ কলিন্স,সফিকুল ইসলাম লিটন ও বোমা বিপুল।
এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে জাহিদুল ইসলাম মাতুব্বর ও ফরিদ রাঢ়িকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন এসআই গৗতম কুমার ঘোষ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, গত শনিবার বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এসময় তারা বাসের দুটি গ্লাস ভাংচুর করে। পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করলে ক্ষপ্তি হয়ে নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় কনস্টেবল আবদুল আজিজ ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান আহত হয়।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজমোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদষ্টো ব্যারষ্টিার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর-উত্তমকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে আটকের সময় নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয় তবে এ সময় কোন বাস ভাংচুর করা হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।