বেশি বেশি ইংরেজি শুনুন। এ ক্ষেত্রে আল-জাজিরা, বিবিসি, সিএনএস-এর নিউজ দেখতে পারেন। তাদের উচ্চারণ খেয়াল করুন। এতে শুদ্ধ উচ্চারণ ও বাক্য গঠন শেখা যাবে। সম্ভব হলে সাব-টাইটেলওয়ালা সিনেমা দেখা বা লিরিক্স শোনা যেতে পারে।
এতে করে নতুন নতুন বাক্য তৈরি করা শেখা যাবে। সিনেমা দেখার সময় প্রয়োজনে ‘পজ’ করে করে ২ ঘন্টার মুভি ৪ ঘন্টায় দেখুন। এ সময় ডায়ালগগুলো বুঝার চেষ্টা করুন। বলার ভঙ্গিমা অনুসরণ করুন।
পত্রিকা, গল্প-উপন্যাস পড়ুন।
ইংরেজি পত্রিকা জোরে জোরে পড়ুন। এতে কিছুটা শোনার কাজও হয়ে যাবে। এভাবে খুব সহজে আপনার Vocabulary Stock বাড়াতে পারবেন।
নতুন শেখা শব্দগুলো পরিকল্পিতভাবে কথা বলার সময় ব্যবহার করুন। পূর্ব নির্ধারিত কোনো বিষয়ে কথা বলতে- আগেই সে বিষয় সম্পর্কিত শব্দগুলো জেনে নিন।
স্পোকেনের ক্ষেত্রে ‘কমন সমস্যা’ হচ্ছে- মোটামুটি ইংরেজি জানা কাউকে প্যাচাল পাড়তে পাওয়া যায় না। এমন হলে নিজেই আয়নার সামনে দাড়িয়ে আয়নার মানুষকে অন্য একজন ভেবে কথোপকথন করতে পারেন।
ইংরেজি শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করার সময় Stress ব্যবহার করুন। Stress মানে- “অপেক্ষাকৃত জোর দিয়ে বলা”। বাক্যের কিছু কিছু শব্দ এবং শব্দের কিছু কিছু অংশ ইংরেজরা জোর দিয়ে বলে থাকেন।
Stress এর অভাবে ইংরেজিটা “বেংলিশ” হয়ে যায়। যা শুনতে ভালো শুনায় না। সাধারণত বাক্যের মূল বক্তব্যের সাথে জড়িত শব্দগুলোর প্রতি জোর দেয়া হয়ে থাকে। নতুন শব্দ শেখার সময়ই Stress-সহ শিখলে ভালো হয়।
কথা বলার মাঝে Fillers ব্যবহার করুন।
যেমন- Errr, Umm, Ahh etc যেমন আমরা বাংলায় আ, আমম, আর ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। এর ব্যবহারে পরবর্তীতে কী বলা হবে তা চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ইংলিশরা কথার শুরুতে ও মাঝে অনেক সময় Well, So, However ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে।
কোচিং-এ স্পোকেন পার্টনার পাওয়া যায়। এ জন্য তাড়াতাড়ি শেখা যায়।
তাই কোনো স্পোকেন কোর্সে ভর্তিও হতে পারেন।
যখনই সময় পান নিজে নিজে ইংরেজিতে চিন্তা করুন, কথা বলুন। একটু ভালোর দিকে গেলে তখন অন্যদের সাথে কথা বলা শুরু করুন। বিশেষ করে হাটার সময় বা যখন বসে আছেন তখন যা দেখা যায় তা দিয়েই ইংরেজিতে কিছু বলার চেষ্টা করুন। এ জন্য অবশ্য রাস্তার বা আশ-পাশের মানুষ আপনাকে পাগলও বলতে পারে।
বিদেশী ভাষা শিখতে ওই ভাষায় কথা বলা, ওই ভাষায় ভাবা, এমনকি ওই ভাষায় স্বপ্ন দেখতে হবে। – এ বাণী মনে রাখুন।
মানুষ কী বলবে, এটা মাথায় থাকলে ইংরেজি শেখা যাবে না। সুতরাং – এ জাতীয় নেতিবাচক চিন্তা এখনই পরিহার করুন।
কথার বলার সময় এক বাক্যে বা এক কথায় প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ছোট ছোট বাক্যে দেয়ার অভ্যাস করুন।
ইংরেজি প্রাকটিস করার সময় বাংলা ভুলে যেতে চেষ্টা করুন। অর্থাৎ – ঐ মুহূর্তে ধরে নিন আপনি শুধু ইংরেজি ভাষাই জানেন। কোনো চিন্তাও যেন বাংলায় না আসে, সে দিকে খেয়াল করুন।
অনেকে বলে থাকেন- স্পোকেনের প্রধান সমস্যা – Grammar ও I Vocabulary। কিন্তু না, নিজের Grammar Knowledge ও Vocabulary Stock নিয়ে চিন্তা করবেন না।
বিদেশে বাচ্চারা সমান্য কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করেই তো কত সুন্দর করে কথা বলতে পারে তা ভেবে দেখুন।
প্রাকটিসের জন্য পরিচিতদের থেকে অপরিচিত কারো সাথে করুন। এতে লজ্জা কম লাগবে। আমাদের দেশে হঠাৎ কেউ ইংরেজি প্রাকটিস শুরু করলে সে প্রথম পঁচানি খায় তার বন্ধুদের কাছ থেকেই।
ফেসবুক বা স্কাইপিতে বাংলার বদলে ইংরেজীতে অভ্যাস করুন এবং তা সর্ট হ্যান্ডের বদলে ফুল স্পেলসহ হতে হবে।
স্টাইলিশ হোন । ভাব ধরুন, বডি ল্যাংগুয়েজসহ কথা বলুন। যাতে ফাস্ট লুকেই আপনার ইমপ্রেশন বলে দেয় যে আপনি ভালো ইংরেজি জানেন।
শেষ কথা
স্পোকেনের ক্ষেত্রে সবচে বড় কথা Determination এবং Confidence। তাই, আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাসহ আজ থেকেই নেমে পড়ুন।
আপনি দক্ষ হতে চান “স্পোকেন ইংলিশ”-এ অথচ কথাই ফুটবে না আপনার মুখ থেকে- তা কী করে হয়। তাই কথা বলা শুরু করুন। আয়নায় সামনে হোক, নিজে নিজে হোক বা অন্য কারো সাথে হোক।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ :
সালমান শামিল
আপনার লিখাটি অত্যন্ত মানসম্মত এবং সকলের উপকারার্থে শেয়ার করলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।