নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .
তখনকার সময়ে ডেভিড কপারফিল্ডের পরেই যদি কোন ম্যাজিশিয়ানের নাম থাকতো, সে আমি। বাঙালী হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন ছিল কারণ ততদিনে আমি শুধু ন্যাশনাল না একজন ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রেটি। শেষবার যে প্রোগ্রাম'টা করেছিলাম ওটা হওয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বুশের একটা ফ্যামিলি নাইট ছিল। নাইন ইলেভেনের টুইন টাওয়ার ডেস্ট্রয়ের সিক্রেট'টা সেদিন যাদুর নীল নকশায় দেখিয়েছিলাম, ম্যাজিক শেষে যখন দেখলাম বুশ সাহেবের সাদা চামড়ার রক্ত নীল হয়ে গিয়েছে, তাকে খুব গোপনে সেদিন হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। বিশ্বের একটা মানুষও এই খবরটা জানে না।
২০১৩ সালের শেষের দিকের কথা। বিশ্বের ইতিহাসে সেবারই প্রথম সিডনীর অপেরা হাউজে কোন ম্যাজিক শো হতে যাচ্ছে। এর আগে এখানে কখনো ম্যাজিক শো হয়নি তাই প্রথমবারের মত হতে যাওয়া এই ম্যাজিক পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। অবশ্য আলোরনের আরও একটা কারন ছিল কারণ পুরো পৃথিবীর ১১৩ টিদেশের প্রধান'রাই শুধুমাত্র এই ম্যাজিক শো'তে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
একমাত্র আমিই ছিলাম এই ম্যাজিক শো"এর পারফর্মার।
এখনও একথা ভাবলে গর্ববোধ হয় যখন সেই দৃশ্যটা কল্পনা করি ১১৩টি দেশের নেতারা আমার সামানে অডিয়েন্সেরর সারিতে বসা আর আমি স্টেজে পারফর্ম করছি। যখন পুরো পৃথিবীর মানুষ সেইসব নেতাদের কথা শুনে আজ সেই নেতারাই এতটাই সুবোধ বালকের মতো শুধু আমার কথা শুনছে। কিন্তু একথা ভাবলে আজ এখনও পুরো পৃথিবী আমার কাছে অন্ধকার হয়ে আসে, কারণ সেদিনের সামান্য সময়ের ব্যবধানে ....... খুব অল্প সময়, যে সময়কে সেকেন্ডেরও সহস্র ভাগের এক ভাগ কিংবা তার চাইতেও কম ..... না না আমি এখনও সেকথা ভাবতেও পারিনা ... !
"ইল্যুশন" অপেরা হাউজের আকৃতি'টা অনেকটা ট্রায়েঙ্গেলের মত। মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই বিভ্রান্তি লেগে যাবে, গোটা ১৩ সমান্তরাল আকৃতির পাতালা এল্যুমিনিয়ামের প্রলেপ দেয়া কাঁচকে উলম্ব আকারে এমনভাবে রাখা হয়েছে যেখানে নিজের একটি প্রতিবিম্বের কিম্ভুতাকৃতি দেখে নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন, তার সাথে যোগ করা হয়েছিল গাড়ো নীল-কালো অন্ধকারের ছায়া খেলা। ভায়োলিনের শেষ রিদমে তোলা চিকন সুর শুনে যে কারোরই মনে হতে পারে কোন একটা সিমেট্রিতে পূর্ণিমার শেষ রাতে অদৃশ্য আত্মা সুরের নেশায় মেতেছে।
"ইল্যুশন" সাউন্ড এবং লাইটিং ইফেক্ট আর যাদুবিদ্যা দিয়ে প্রথম ৩ মিনিটেই ১১৩ জন মানুষের মনস্তাত্বিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলাম, ওটা ছিল সেদিনের যাদুর প্রাইমারী পার্ট। ব্যপারখানা এরকম আমি যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন'কে বলি "আপনার শার্টখানা খুলে হিলারী ক্লিনটনের দিকে ছুড়ে মারুন" সে তৎক্ষণাৎ তাই করবে, আবার এমনও হতে পারে ফিনল্যান্ডের প্রাইম মিনিস্টার মারি কিভিনিয়েমি'কে বললাম "আপনি হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলুন" সেও জোকারের মত সেটাই করবে কারণ সেখানে হাজির হওয়া প্রত্যেকটা মানুষের শুধু শারীরিক অধিকারই তার ছিল, মনের ব্যপারটা পুরোটাই আমার যাদুর ইশারায়।
সেদিন শনিবার। পুরাতন গ্রীক উপাসনাকারীদের সংরক্ষিত গ্রন্থে পাওয়া যায় মাসের শেষ শনিবারটি কালো যাদু বিদ্যাপ্রয়োগ অমঙ্গলজনক কারণ সেদিন অতৃপ্ত আর অভূক্ত আত্মাগুলো রক্ত ক্ষুধা মেটাবার জন্য অদৃশ্য হাজির হয় আর যাদু বিদ্যায় হচ্ছে সেই মাধ্যম যেভাবে তারা জীবের সংস্পর্শেএসে রক্ত শোষণ করতে পারে। ১৮১৩ সলের পরবর্তী সময় থেকে এই সময়'টাতে তাই সমস্ত প্রকার কালো যাদুচর্চা বা প্রয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
১৮১৩ সালের ঘটনাটি যারা জানেনা তাদেরকে বলছি, সেদিন একসাথে ১৩১৩ জন মানুষকে একটি হলে মৃত পাওয়া গিয়েছিল, যাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রায় ২০০ বছর পর এই প্রথমবারের মত সেই কালো যাদুটি আজ আবার করা হবে, শুধু একটা প্রশ্ন, তাহলে কি সেদিনের মত আজও সেই ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে ১১৩ জনের ভাগ্যে ?
"ম্যাসমারাইজাম" - আমার প্রথম যাদু। একটি তের বছরের মেয়েকে একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতি গোলকের ভেতর উপুর করে শুইয়ে তাকে সম্মোহিত করা এবং তারপর দিখন্ডিত করে শুধু মস্তিস্কের অংশটি থেকে একটি ছায়া আত্মা বাইরে বের করে আনা, আর এই সেই ছায়াটি হলরুমে থাকা ১১৩ জন দর্শকের প্রত্যেকের হাতে এক ফোঁটা রক্তের ছোপ লাগিয়ে দেবে, তারপর পুনরায় তাকে জীবিত করা।
এলোমেলো কৃত্তিম বাতাস, স্টেজের হলুদ-কালো পর্দার আড়াল থেকে ১৩ বছরের মেয়েটি আস্তে আস্তে আমার সামনে এসে দাড়ালো। মেয়েটির চোখ তখন আমার চোখে, অসম্ভব নীল, গায়ে কালো রঙের একটা কাপড়।
স্টেজের পেছন থেকে তখনো তন্দ্রাচ্ছন্ন সুর বেজেই চলেছে, মুহুর্তেই মেয়েটিকে ম্যাসমারাইজিং করে ফেললাম, ধীরে ধীরে মেয়েটির চোখ বন্ধ হয়ে আসলো মনে হতে পারে মেয়েটি জেগে নেই, এই বুঝি পড়ে যাবে, কিন্তু না, মেয়েটিকে ধরে সেই গোলকে শুইয়ে দিলাম। এখন ওর দেহ থেকে মাথা'টাকে কেটে ফেলা হবে। আর এই মাথাটাকে কাটার জন্য কোন ধারালো ব্লেড বা তরবারী ব্যবহার করা হবেনা, স্রেফ ১৩ ইঞ্চি লম্বা অসমান্তরাল আকৃতির একটি কালো কাঁচ, যাতে মাথাটি আলাদা হবার সাথে সাথে তার রক্ত কাচেঁ লেগে যায় আর এই রক্তই ১১৩ জন মানুষের হাতে ছোপ ফেলবে।
মেয়েটি পুরোপুরি সম্মোহিত ছিল, হল রুম নিস্তব্ধ, কালো কাঁচটি আমার হাতে, মন্ত্র যপ করছি হঠাত কেমন মনে হল হাত কাঁপছে, ভেতর থেকে এক রকম দূর্বলতা অনুভব করলাম কিন্তু এই যাদু'টা এই প্রথম নয় আগেও একবার করেছি কিন্তু সেদিন যেন কিছুতেই নিজেকে স্থির করতে পারছিলাম না, শেষ যপ'টা শেষ না হতেই আপনাই কাঁচটি মেয়েটির গলা বরাবর কেঁটে ফেলল। চোখের সামনে মেয়েটির দিখন্ডিত গলা, রক্তের ফিনকি আমার সাদা কাপড়ে এসে পড়েছে; দর্শক সারির কোন এক ভদ্রমহিলা হঠাৎ চিৎকার করেই চুপ করে গেলেন - খুব সম্ভবত জ্ঞান হারিয়েছেন, আমার যাদু তখনও শেষ হয়নি, মাত্র যপ শুরু করেছি আর তৎক্ষনাৎই মেয়েটি কাটা গলা থেকে শুধু মাথার অংশটি ছায়া রুপ ধারণ সামনে হাজির হল।
ছায়ার আত্মার প্রতিচ্ছবিটি আমার দিকে তাকিয়ে বাকা ঠৌটেঁ হাসছে, যেন মনে হচ্ছিল আমি নয় অদৃশ্য থেকে অন্য কেউ এই যাদুটি করছে, ছায়াটি মাথা ঘুরিয়ে বাতাসে ভেসে দর্শক সারির দিকে এগুতে থাকলো, চিৎকার, হট্টোগল কিন্তু ছায়াটি এগিয়েই চলেছে একে একে ১১৩ জনের হাতে ছায়াটি তার অদৃশ্য ঠোঁট দিয়ে রক্তের চুমু একেঁ দিল। ডি ম্যাসমারাইজামের মাধ্যমে মেয়েটিকে আবার জীবিত রুপে ফিরে আনলাম।
দ্বিতীয় এবং শেষ যাদু, "ব্ল্যাক পানিশমেন্ট" যাদুটির নাম, যেখানে ১৩টি নিষিদ্ধ আত্মাকে নামানো হবে, তারপর সদ্য মৃত কোন কুমারী নারীর রক্ত দিয়ে প্রত্যেকটি আত্মাকে জীবিত করা হবে। আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম, যাদু বিদ্যায় প্রথম শিক্ষা হল সাহস আর নিজের উপর আস্থা, এ দুটোর একটির অভাব হলেই যাদুটি হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক আর অবিশ্বাস্য ভয়ংকর । আর সেদিন অপেরা হাউজের হলভর্তি রুমে ঠিক সেটাই হয়েছিল।
রাত ১২টা, অডিটরিয়মের ফ্লাশ লাইটটা শুধু ফিক্স করা হয়েছে স্টেজের মাঝ বরাবর যেখানটাতে আমি দাড়িয়ে ছিলাম, আর বাকী সব আলো নিভিয়ে দেয়া হয়েছে, ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ইফেক্টও বন্ধ করা হয়েছিল, আমার সামনে ছোট্ট একটা স্বচ্ছ কাচেঁর পেয়ালা যেখানে রক্ত রাখা ছিল। ব্লাক ম্যাজিক'টা সাধারণত কয়েকটা টেকনিকে করা হয়ে থাকে "ক্রাশার" "ড্রোভ পেইন" "মেটাফরমসিস" আর এই যাদুটাতে একটা বিশেষ মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয় যা নিষিদ্ধ এবং অপবিত্র। আমি মন্ত্র উচ্চারণ করতে শুরু করলাম, ধীরে ধীরে .. হাতদুটো প্রসারিত করে উপরে তুলে আস্তে আস্তে নীচে নামাতে লাগলাম, যে আত্মাগুলো নেমে আসে। আমার শরীর কাঁপছিল, রক্তের সঞ্চালন কমে গেল, বুঝতে পারছিলাম একে একে আত্মাগুলো নেমে আসছে , আত্মাগুলো তখনও দৃশ্যমান হয়নি শেষ আত্মাটি নামবার সাথে সাথেই পুরো হলরুম সাদা আলোর ঝলকানিতে প্রায় ঝলসে উঠলো, পুরো হল জুড়ে ভয়ার্ত আর্তচিৎকার কারণ এক একটি আত্মা স্ফটিকের মত স্বচ্ছ দৃশ্যমান যেন শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছিল। এক একটি আত্মা তখন জীবিত।
হলভর্তি মানুষের সোরগোল তখন কানে আসছিল।
এবার মূল যাদু, ভেতরে এক প্রকার অস্বস্তিকর উত্তেজনা কাজ করছিল, হঠাত শরীরটাতে এক প্রকার ঝাঁকুনি অনুভব করলাম, নিজেকে কেমন শীতল লাগছিল, পায়ের কাঁপুনি দেখে মনে হলো স্টেজের নীচ থেকে কেউ পুরো স্টেজটা'কে কাপাচ্ছে, চোখ বন্ধ করে মন্ত্র শুরু না করতেই কি এক অদৃশ্য কাপুনিতেঁ সামনে রাখা রক্তের পেয়ালা'টা পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল, চোখের সামনে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে শেষ রক্তের ফোঁটা'টা আমার পায়ের কাছে এসে থেমে গেল। কিন্তু কিভাবে ? দর্শক সারিতে চিৎকার আর কান্নার সুর, এখন কি হবে ? আমার হাত'টা থর থর করে কাঁপাছিলো "ইয়া স্যাং ছিওর" মন্ত্রবলে আত্মাগুলোকে ফেরত পাঠাতে চাইলাম, কিন্তু না ? এই আত্মাগুলোর দরকার মৃত কোন নারীর রক্ত, আর যদি তা না পায় তবে ? আমি কিছুতেই ভাবতে পারছিলাম না, কোন যাদু বিদ্যায় অবশিষ্ট ছিলনা যে আত্মাগুলোকে পুনরায় ফেরত পাঠাতে পারি। আর সবকিছুর জন্য প্রয়োজন মৃত কোন কুমারী নারীর রক্ত কিন্তু কোথায় পাবো ? আত্মাগুলোকে এতোক্ষণ "সনোরা" যাদু বলে আটকে রাখছিলাম, কিন্তু সময়ের সাথে সেগুলোকে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে না, ওদের দরকার রক্ত। কোন উপায় না দেখে আমি স্টেজ ক্রুদের সিগন্যাল দিয়েছিলাম, ওরা বুঝতে পারলো নিশ্চয় কোন কিছু একটা হয়েছে।
খুব ধীরে সতকর্তার সাথে দুজন আমার পাশে এসে দাড়ালো, একজনকে ফিস ফিস করে বললাম যেভাবেই হোক মৃত কোন মেয়ের রক্ত লাগবে, জোগাড় করো দ্রুত, নইলে বিপদ। আমি জানতাম না ওরা কিভাবে সেটা জোগাড় করবে ! আত্মাগুলো ভাসতে শুরু করেছে ততক্ষণে ওরা রক্ত তৃষ্ঞায় কাতর; হঠাত মনে পড়লো সেই ১৩ বছর মেয়েটার কথা যাকে দিয়ে আমার প্রথম যাদুটি করিয়েছিলাম, ঠিক এসময় দুজন ক্রু আমার পাশে চলে এসে যে সংবাদটি দিল তাতে এর পর আর ভয়ংকর কি হতে পারে ? মেয়েটিকে স্টোর রুমের পাশে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, সে মৃত ! আমার দুচোখ ক্রুদের বুঝিয়ে দিলো এখন তাদের কি করতে হবে !
দর্শক সারিতে ততক্ষনে সোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে কারণ ইন্ডিয়ান প্রেসিডেন্ট "প্রতিভা পতিল" অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছেন, তার চোখ-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছে। এদিকে ক্রুদের খুব বেশী সময় লাগেনি, ভাঙা কাচেঁর টুকরোগুলোকে সরিয়ে সেখানে তাজা রক্তের আরেকটি পাত্র আনা হয়েছে, আমি মন্ত্র শুরু করলাম ... "আনা কাভো যে কো কালা ...... " মেটাফরমসিসের শেষ স্টেপ 'ইমরালিটি" আস্তে আস্তে রক্ত ভর্তি পাত্রটি খালি হতে লাগলে, আমার হাতদুটোকে প্রসারিত করে নীচ থেকে উপরে ওঠাতে লাগলাম, জোড়ে জোড়ে মন্ত্র পড়ছি "আনা কাভো যে কো কালা ......" ধূপ করে পুরো অডিটরিয়ম অন্ধকার হয়ে গেল, নিস্তব্ধতা ... শান্ত ... স্থবির .....
সেদিন আমার জ্ঞান ফিরেছিল অনেকক্ষণ পর। আমার যাদু অভিজ্ঞতায় অপেরা হাউজের সেদিনের শো'টিই ছিল সবচাইতে ভয়ংকর কারণ অনাকাঙ্খিত যে ঘটনাটি ঘটতে চলেছিল তা খুব অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলাম। ব্ল্যাক ম্যাজিক রিয়েল্লী ডেঞ্জারাস ! সেদিনের পর থেকে সবধরনের ম্যাজিক ছেড়ে দিয়েছিলাম আর প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আর কখনো না, ওটাই শেষ।
কিন্তু ...
ফোবর্স ম্যাগাজিনে আমার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হবে, এই তো গেল সপ্তায় জার্নালিষ্ট উইলিয়াম স্টুয়ার্ট এসেছিলেন আমার ইন্টারভিউ নিতে, অনেক প্রশ্ন, একে একে সব উত্তর দিচ্ছিলাম কিন্তু সবশেষে তিনি একটা প্রশ্ন করলেন - "আপনার যাদু চর্চায় আজ পর্যন্ত কোন যাদু'র এখনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি ?"
সময় নিয়ে প্রশ্নটির উত্তর ভাবছিলাম, উইলিয়াম আমাকে এভাবে নিশ্চুপ থাকতে দেখে তখন কাশলেন, আমি ফিরে তাকিয়ে শুধু একটা মৃদু হাসি দিয়ে সেদিনের মত ইন্টারভিউ শেষ করছিলাম। আমি উত্তর দিতে পারিনি।
তারপর থেকে শুধু সেই প্রশ্নটা, যার উত্তর আমি দিতে পারিনি, তার অজানা রহস্য উন্মোচনের জন্য আবার নতুন করে আমি ম্যাজিসিয়ান তুষার নামছি যাদু'তে।
.
.
.
- আজও যে প্রশ্নের উত্তরটি আমি জানি না, তা হল, আমার ভালবাসার মানুষটি আমাকে একদিন যাদু করেছিলো ? ঠিক সেই থেকে, সেই যাদুর শক্তি আমাকে আজও মোহাবিষ্ট করে রেখেছে ! যার মোহ থেকে আমি কখনোই মুক্ত হতে চাই না আর পারি না। সত্যি অজানা সেই রহস্য !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।