আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিবন্ধন পেলই বিএনএফ

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)। নিবন্ধিত ৪২তম দল হিসেবে গতকাল সোমবার দুপুরে দলটির প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ নির্বাচন কমিশন থেকে সনদ গ্রহণ করেছেন।

আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিক-দের বলেন, বিএনএফ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তিনি দাবি করেন, বিএনএফের কাছে চমক আছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অনেকে বিএনএফের সঙ্গে আছেন।

সময় হলে নাম প্রকাশ করবেন।

বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষের আদলে প্রথমে ‘গমের শীষ’, পরে ‘ধানগাছ’ প্রতীক চেয়ে কয়েক মাস আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসে বিএনএফ।

বিএনএফকে নিবন্ধন না দিতে গত ১১ জুলাই বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয়। ওই দিন বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপিকে ভাঙার লক্ষ্যে সরকার গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় বিএনএফ নামের একটি দলকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিএনএফের পোস্টারে বিএনপির প্রতীক, জিয়াউর রহমানের ছবি ও তাঁর ১৯ দফা ব্যবহার করা হচ্ছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন বিএনপির এই অভিযোগ আমলে নেয়নি; বরং নিবন্ধিত করতে বিএনএফকে তিন দফায় সুযোগ দেওয়া হয়, যা আইনেও নেই। অথচ প্রাথমিক তদন্তে আবেদনকারী একাধিক দলের সাংগঠনিক অবস্থান বিএনএফের চেয়ে ভালো থাকা সত্ত্বেও কমিশন তাদের কোনো সুযোগ দেয়নি বলে কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত হতে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় দলের কমিটি ও অফিস থাকতে হবে। প্রতিটি কমিটিতে ২০০ জন করে ভোটার সদস্য থাকতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের সূত্রগুলো জানায়, প্রাথমিক আবেদনে ৩৬ জেলা ১৩৪ উপজেলায় বিএনএফের কমিটি আছে বলে উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে মাত্র ১৯ জেলা ও ৩২ উপজেলায় দলটির কমিটির অস্তিত্ব খুঁজে পায়। এরপর শর্ত পূরণের জন্য দলটিকে তিন দফা সুযোগ দেওয়া হয়। শেষ দফায় কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পরিবর্তে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ২৭ জেলা ও ১০৮ উপজেলায় বিএনএফের সাংগঠনিক অস্তিত্ব থাকার কথা বলা হয়। তবে তদন্তে প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটার সদস্য থাকার বিষয়টি যাচাই করা হয়নি।

এ ছাড়া তদন্ত প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনএফের কার্যালয় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও ওইসব ঠিকানা ধরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে সরেজমিনে খোঁজ করা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কার্যালয় খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বিএনএফকে এভাবে তিন দফা সুযোগ দিয়ে নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনএফ আয়োজিত আলোচনা সভায় দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, বিএনএফ কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি বিএনএফের প্রতি ভালোবাসা দেখায়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।