গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে একটু সূচনা করি। বড় ভাইয়াকে দেখেছি জন্মের প্রায় ৩০ বছর পরে বিদেশ যাওয়ার তাগিদে নিজের জন্ম নিবন্ধন করে আনতে। যখন নিজের টা করার দরকার পড়লো, তখন আরেক ঝামেলায় পড়লাম। আমার জন্ম স্হান ঢাকায়, থাকি খুলনায়, সেভাবেই সব ডকুমেন্ট। তাই ঢাকায় বড় আপাকে বল্লাম সিটি কর্পোরেশন থেকে সনদ বের করে দিতে।
সার্টিফিকেট হলো তবে প্রায় ৩ মাস দাবড়া দাবড়ির পর। সে ঘটনাও আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগেকার।
তারপর সময় গড়িয়ে গেছে, পড়াশোনার আশায় চলে এলাম কোরিয়া। খবরে দেখি দেশে নাম নিবন্ধন চলছে, ভালো কথা। তো আমরা যারা পাসপোর্টধারী বিদেশে আছি, আমরা কি কোরিয়া বসে আইডি কার্ড করতে পারবো? ২০০৭ এর বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম এমবেসিতে।
উনারা বললেন এখনো কোন নির্দেশনা পাননি। তারপর কিছুদিন আগে একটা কাজে গেলাম। উনারা জানালেন শুধু নাকি ইউকে আর কোথায় করা যাচ্ছে, আর কোথাও নয়। জানিনা সেটা সঠিক তথ্য কিনা তবে এটুকু নিশ্চিত কোরিয়ায় করা যাবে না। তাহলে আমরা যদি দীর্ঘদিন এখানে থাকি আর ভোটের সময় যাই তখন কোথায় দৌড়াদৌড়ি করে আমরা নিজেদেরকে ভোটার করবো? বিদেশে সব দুতাবাসগুলো থেকে কি একটা ব্যবস্হা রাখা যেতোনা।
হয়তো উনারা সেটা মোটেও জরুরি মনে করেন নি।
যাইহোক সেদিন সকালে মেইল চেক করে দেখি ক্যাম্পাসেরই এক বড় ভাই মেইল করেছেন। ঘটনা হলো ক্যাম্পাসে যারা বাইসাইকেল নিয়ে আসে তাদের সাইকেল গুলো মালিকের নাম ঠিকানা সহ রেজিঃ করতে হবে। ইনিস্টিটিউটের ওয়েবের লিন্কসহ মেইল করেছেন তিনি, সেখানে ফরমও দেয়া আছে। সময় সাত দিন।
খুব সুন্দর ফরম, তাতে সাইকেলের নাম্বার, সাইকেলের ধরন, কয়টা গিয়ার, মালিকের নাম, ফোন, ইমেইল আরও কতো কি। আর যেগুলো রেজিস্ট্রি হবেনা সেগুলো সময় পার হলে ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ নিয়ে নিবে।
হাসি আর কষ্টের একটা মিশ্র অনুভুতি খেলে গেলো মনের ভিতরে। হয়তো একদিন আমরাও আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো সহজ সরল ভাবে বাস্তবায়ন করবো, অহেতুক নিয়মের প্যাচে ফেলে দীর্ঘায়িত করবোনা। সেই অনাগতকালটা যতো কাছে হয় ততোই মন্গল, কারন এমনিতেই আমরা পিছাতে পিছাতে প্রায় সভ্যতার শুরুতে পৌঁছে গেছি।
এ পর্যন্ত লিখে বসে ছিলাম, পোস্ট করা হয়নি। আজ আবার সেই বড় ভাইয়ের মেইল, সাথে আবার চমক। অবশ্য মেইল পাওয়ার আগেই সকালে চমকটা চোখে পড়েছে। অব্যবহৃত সাইকেল গুলো ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে মেরামত করে, প্রতিটি সাইকেলে ট্যাগ ঝুলিয়ে শেডে রেখে দিয়েছে। যার যখন প্রয়োজন হবে ক্যাম্পাসের ভিতরে ব্যবহার করতে পারবে।
কাজ শেষে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলেই হলো। একদম ফ্রি সার্ভিস।
এই সেই সাইকেল নোটিশ
ছবি কৃতজ্ঞতা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।