অনলাইন সোশাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে র্যান্ডিকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। টাইম ম্যাগাজিন ও হলিউড রিপোর্টারসহ বিভিন্ন প্রকাশনা তাকে ডিজিটাল দুনিয়ায় শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
ফেইসবুকের এই সাবেক মার্কেট ডেভেলপমেন্ট পরিচালক সম্প্রতি অনলাইন সোশাল মিডিয়া এবং আমাদের জীবনে এর প্রভাব নিয়ে একটি বই লিখেছেন, যার শিরোনাম ‘ডট কমপ্লিকেটেড: আনট্যাঙ্গলিং আওয়ার উইয়ার্ড লাইফ’।
নিজের লেখা প্রথম বইতে সোশাল মিডিয়া সেম্পর্কে বিভিন্ন বিশ্লেষণ করেছেন র্যান্ডি।
প্রকাশিত বইতে র্যান্ডি তার ছোটবেলা এবং প্রথমদিকে ফেইসবুক ব্যবহারের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
র্যান্ডি বলেছেন সোশাল মিডিয়ায় নিজের ব্যক্তিগত জীবন এবং আশপাশে কী ঘটছে সব কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেককেই যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়।
র্যান্ডি আরও যোগ করেছেন, “ফেইসবুকের মতো সোশাল মিডিয়াগুলোর কল্যাণে শতকরা ২৬ ভাগ খবরই আমরা পাই নতুন এই মাধ্যম থেকে, কোনো খবরই আর আমাদের অজানা থাকে না। এছাড়া স্মার্টফোনের কারণে আমরা দূরে থেকেও পরিবারের কাছে থাকতে পারি। এগুলো যেমন সোশাল মিডিয়ার ভালো দিক তেমনি একে অন্যের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকায় সবার মেইল, টেক্সট মেসেজের উত্তর দেওয়ার চাপে থাকতে হয় আমাদের; যা কিনা আমাদের নিজস্বতা বা প্রতিভার ক্ষতি করতে পারে।
“আমার ধারণা, অনেক মানুষই দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের বিরতি দেওয়ার কথা শুনে অবাক হবেন কিন্তু তাছাড়া তারা কখনও পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার মতো আবিষ্কারগুলো করতে পারতেন না।
”
প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের জন্য জাকারবার্গের দেওয়া উপায়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: অনলাইন থাকুন এবং জেনে নিন কখন ‘শেয়ারের’ পরিবর্তে কোনোকিছু ‘বাতিল’ করতে হবে।
“আমি কখনও খবরের কাগজের শীর্ষস্থানীয় খবর পোস্ট বা শেয়ার করি না। ” ডটকমপ্লিকেটে এমনটাই জানিয়েছেন র্যান্ডি জাকারবার্গ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।