আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেয়ার ইলেকশান আ্ওয়ামী লীগের জন্য কতটা নিরাপদ?

জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায়

অনেক চাপাচাপি আর আয়রন লেডির ভূমিকা পালনের পর বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে এই দাবী থেকে কিছুটা সরে এসে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে যাচ্ছেন। এতে তিনি আগে থেকেই কেনা গরু গুতো দেওয়ার হুমকি ধামকি দে্ওয়ায় এবার আরো বেশি দামে কিনেছেন লেজেহুমো এরশাদকে। এদিকে বিরোধীদলীয় নেত্রী দ্বারস্ত হয়েছেন রাষ্ট্রপতির কাছে।

তিনি আশ্বাস দিয়েছেন বটে কিন্তু কতটুকু কি করতে পারবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ, এদেশের প্রেসিডেন্ট পদবীটিকি যথেষ্ট খোজা করে দেওয়া হয়েছে। কাগজে কলমে প্রেসিডেন্ট অতি উচ্চ মর্যাদার পদবী হলেও বাস্তবে তিনি রাষ্ট্রের জন্য ক্ষেত্র-বিশেষে রাষ্টের জন্য বোঝাস্বরূপ। পরিবারের বৃদ্ধ পিতার মত। থেকেও নেই অবস্থা।

আবার শেখ হাসিনা অনড় থেকেও দীর্ঘদিন পারবেন না বলেই মনে হচ্ছে। সাত সাগর পাড়ি দিয়ে উড়ে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিস্ওয়ালও একটি নিবন্ধ লিখে বলেছেন সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমে আসতে পারে। এমতস্থায় ফেয়ার ইলেকশনে গেলেও তারা পুরো মাঠে মারা যাবে। ক্ষমতায় ফিরে আসবে জামায়াত-হেফাজতের মত ধর্মজীবী ও ধর্মান্ধ দলগুলো। আর তাদের উপর ফিরে আসবে ৭৫ এবং ২০০১ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতা।

বিপক্ষ শক্তিগুলোর সুর অন্তত তেমনটাই। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় তাদের গুল (গুই সাপ) ছিলার মত ছিলানো হতে পারে। এই অবস্থায় আ্ওয়ামী লীগের জন্য ফেয়ার ইলেকশান কতটা নিরাপদ? আবার ক্ষমতা ধরে রাখাও কতটা নিরপাদ? আ্ওয়ামী সমর্থকরা এর কোন জবাব দিতে পারবেন কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।