ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো তিলোত্তমা ঢাকার সম্মানিত নাগরিকদের মনোরঞ্জণ করতে সরকার বাহাদূরের চিন্তার শেষ নাই। ঢাকায় কোটি টাকার লেহেঙ্গা আসে ঈদে, সংযমের মাসে সহস্রাধিক টাকার ইফতার বাজার করেন বড়লোকের ছোট পোলায়। রাতে এয়ারপোর্ট রোডে কার রেইস করবে, সীসা লাউঞ্চে নবাবি করবে ঢাকার ছেলে-মেয়েরা। ঢাকার নিরাপত্তা দিতে দু মাথায় দুইখানা সেনানিবাস খুলে পেট্রিয়ট অফিসার্সদের পরিবাররাও এই নগরীর মজা নিতে পারছেন। আছে দুই তিন খানা ডিওএইচএস।
চমৎকার এন্তেজাম। এরমধ্যে যুক্ত হলো হাতিরঝিল। ঢাকার নাগরিকরা এখন বিকেলে হাওয়া খেতে ও ছাড়তে একটা সুন্দর জায়গা পেয়েছেন।
তবে এতেও ঢাকাই মধ্যবিত্ত সমাজের খায়েস কমছে না। সনু নিগমরা দিদিমনিদের বিয়েতে অর্ধকোটি টাকার গান শোনাতে মাসে দুবার আগমন নির্গমন করেন।
শাহরুখ চলে আসেন নাচতে- নাচাতে। বিনোদনের বেশ সুব্যবস্থা।
ঢাকার বাইরের বাংলাদেশ কারওয়ান বাজারের চেতনা ব্যবসায়ী সংবেদনশীল সচেতন সমাজের নেক নজর পায় কেবল আবহাওয়া সংবাদে। আজকাল খুন ধর্ষনের খবরও দিল্লী থেকে ইম্পোর্টেড না হলে পত্রিকাওয়ালারা পাত্তা দেয় না। গরীবের মেয়ের লাশ কোথায় কে ফেলে রেখেছে তার খবর কে রাখে? শেয়ার-কুকুরেতো পত্রিকা কিনে পড়বে না।
আর ঢাকার বাইরের বাকি দেশ গ্রাম। গ্রামের মানুষের বিনোদনের জন্য সরকারের দিচ্ছে পাকা পায়খানা। সাথে সিমেন্টের তিনটি রিং। ভালো ব্যবস্থা। আরো আছে সেচের জন্য গভীর রাতে বিদ্যুৎ।
ঢাকার মানুষ টিভি, লাইট নেভালে তাদের আলো জ্বলে উঠে। অনেক সময় সেই উচ্ছিষ্ট বিদ্যুততাও জোটে না। সুন্দর শেয়ারিং কেয়ারিং সম্পর্ক ঢাকার সাথে সারা দেশের। ঢাকাবাসীর সুপরিচর্যা করতে একে উত্তর-দক্ষিণে দুখন্ড করেছে সরকার। আর ঢাকার বাইরের গ্রামবাসীদের সেবা করতে তাদের দ্বিখন্ডিত পশ্চাত খুড়ে চলেছে তারা।
সামনে ভোট, এখন সবাই দলে দলে পাজেরো হাকিয়ে গ্রামে গিয়ে বলবেন "আমি তোমাদেরই লোক"
-বাঙ্গাল
৯জানুয়ারি,২০১৩ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।