প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ: ১। আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ভাতে (২০১২)। ২। চারিদিকে জীবনে সমুদ্র সফেন (২০১২)। ৩।
ভালোবাসার পদাবলী (২০১২)। ৪। বোধের গহীন জলে (২০১২)।
পাগলের বস্ত্র পরিধান
শাফিক আফতাব.............
একটি পাগল ধেয়ে আসছে, দীর্ঘ ____ তার,
সমস্ত তোপখানা রোড জুড়ে পথযাত্রীসকল দীর্ঘ ___ দিকে খুব একটা লক্ষ্য করছেনা,
ফেমিনিন জেন্ডাররা ঘোমটা দিচ্ছে মাথায়,
কেউ তীর্যক তাকাচ্ছে অবশ্য, বস্তুটির গঠনকৌশল জন্য
নিম্নবর্তী স্থানে পাগলের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, কেউ ছি ছি করেছে
কেউ দেখে কিছুটা মজা পাচ্ছে, কেউ আবার বস্তুটির সাথে নিজেরটার দীর্ঘতা মাপছে
কেউ আবার তার পোষা রাখালের অমূল্য রতনের সাথে মাপজোক করছে।
কী এক অদ্ভূত পাগল !
দীর্ঘ পুরুষাঙ্গের ফর্সা পাগল !
নগ্ন পাগল,__কত কেউ তাকে চটের কাটা অংশ দিয়ে লজ্জাস্থানটুকু ঢেকে দিতে চেষ্টা করেছে
সে তার দর্শনীয় খেলার মাঠে কোনো বস্ত্র দেবেনা।
পাগল আবার স্পষ্ট বাক্যে প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলে
মনে হবে সাহিত্যক্লাসের ছাত্র ছিলো, কী শুদ্ধ উচ্চারণ তার।
হঠাৎ এক সকালে এক দরবেশ বাবাকে দূর থেকে দেখে পাগল রমনাভবনের ওসাকা বস্ত্রালয়ে
দ্রুত ঢুকলো, এবং কালো রংয়ের প্যান্টের একটি থানে সে নিজকে জড়ালো
সেই দরবেশ বাবার সামনে গেলো,
কী কী যেন শুনলো তার কাছে,
পরে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বললো, এই শহরে কোনো সৎ লোক নেই, তাই সে এতদিন
উলঙ্গ ছিলো,
দরবেশ বাবা তার গুরু, বেয়াদবী হবে ভেবে সে আজ লজ্জা নিবারণ করেছে,
সমবেত জনতা তাকে উত্তমধ্যম দিতে উদ্যত হলো, তখন তার থলে থেকে একটি আয়না বের করে
ধরলো সে , সবার সামনে, সমবেত জনতা দেখলো, ঐ দরবেশ বাবা ছাড়া এই শহরের প্রতিটি লোক গরুছাগল
কুকুর বিড়াল আর হায়েনা হয়ে জঙ্গলে ঘুরছে, জনতাসকল নিজেদেরও উলঙ্গ দেখছে !
সমবেত জনতা মুখ ফেরাতেই দেখে, পাগল পাখনা মেলে ফকির বাবার সাথে আকাশ উড়ছে, শাঁই শাঁই উড়ছে
২০.১১.২০১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।