নিজের জন্য লেখি, নিজের কথা লেখি।
কয়েক দিন আগেও ভাবতাম আলোর বেগ সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে না। কারন তখনও চিরায়ত বিজ্ঞানের ন্যায় স্থান কে স্থির বিবেচনা করে মহাবিশ্ব ব্যাক্ষ্যা করার চেষ্টা করতাম। এখন যখন সময়কে স্থির বিবেচনা করছি তখন দেখা যাচ্ছে গতিবেগ কত তা গুরুত্বপূর্ন নয়, মুক্তবেগ হওয়াটা গুরুত্বপূর্ন।
স্পেস-টাইম ইসুতে পদার্থবিদ্যা শুরু থেকেই ভুলের উপর আছে।
সৃষ্টিতত্ব ব্যাখ্যায় স্থানের উপর প্রাধান্য দিয়েছে, যার ফলে সময় দূর্বোদ্ধ হয়ে গেছে।
স্থান বলে কিছু নেই। আমরা যেটাকে স্থান বলি তা আসলে সময়েরই একটা অংশ, সময়ের বিস্তার যা একটি প্লাটফর্মের মত। এই প্লাটফর্ম মহাবিশ্বের সকল উপাদান ধারন করছে। স্থান বা সময়ের বিস্তার মিনিমাম তৃমাত্রিক, মাত্রা আরও বেশি হতে পারে যা গানিতিক বিশ্লেষন ছারা বলা কঠিন।
আর আমরা যাকে সময় বলি তা সময় পথের দৈর্ঘ্য/সরণ। আমরা বলি ১ সেকেন্ড আগের/পরের সময়, আসলে আগে পরে বলে কিছু নাই, পুরোটা মিলিয়েই সময়।
ইলেক্ট্রিক কারেন্টের সাথে তুলনা করলে আমরা যেটাকে স্থান বলি তা অ্যাম্পিয়ারের ন্যায় আর যাকে সময় বলি তা ভোল্টেজের সাথে তুলনা যোগ্য।
নিচের ছবিতে দেখুনঃ কাল রঙের পটভূমি হচ্ছে সময়ের পথ। পাশাপাশি A থেকে B হচ্ছে সময় পথের ত্রিমাতৃক বিস্তার বা স্পেস, আর উপর থেকে নিচে ১,২,৩,৪ হচ্ছে সময় এর দৈর্ঘ্য বা ৪ টি পর্যায়ক্রমিক সময়ে মহাবিশ্বের উপাদান সমূহের স্থানিক আবস্থান।
মহাবিশ্বের উপাদান সমুহ সময়ের বিস্তারের সাথে বাধা পরে আছে। বলবিদ্যার নিয়ম মেনে তারা পরষ্পর আন্তক্রিয়া করছে। আমাদের দেখা মহাবিশ্ব-কাঠামো এই পারষ্পরিক আন্তক্রিয়ার ফল। সময়ের বিস্তারের সাথে মহাবিশ্বের উপাদান সমুহের বন্ধন অমোচনিয় নয়। গতিবেগ এই বন্ধন থাকে উত্তরনের ১টি বা সহজতম উপায়।
উচ্চতর গতিবেগে সময়ের বিস্তারের সাথে মহাবিশ্বের উপাদান সমুহের বন্ধন দুর্বল হতে থাকে। আপেক্ষিক তত্বে যেকমনটা বলা হয়েছে। আর একটি মুক্ত বেগও নিশ্চই আছে। আইনস্টাইনের মতের মত আমারও মত হল মুক্ত বেগ হচ্ছে আলোর বেগ। আলোক-বেগ কে মুক্তবেগ বলার কারন হচ্ছে প্রভু আল্লাহ তায়ালা মহাবিশ্ব পরিচালনার কাজে কিছু ফেরেস্তা নিয়োগ করে রেখেছেন, আর ফেরেস্তারা নুর বা আলোর তৈরি।
মহাবিশ্ব পরিচালনা করতে ফেরেস্তাদের নিশ্চই সময়ের সীমাবদ্ধতা থেকে স্বাধীন থাকতে হবে।
আবার স্বাধিন মন/ চিন্তা শক্তিও সময়ের বিস্তারের বন্ধন থেকে মুক্ত।
মুক্ত বেগে চলতে পারলে বা মনকে সঠিক ভাবে প্রশিক্ষন দিতে পারলে সময় ভ্রমন সম্ভব।
ভবিষ্যতে এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।