মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীন সরকারি শিশু পরিবারে (এতিমখানা) রান্না থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া, ভবন পরিষ্কার, বাগানের পরিচর্যা সব কাজই অনাথ শিশুরা করে বলে জানা গেছে। এমনকি শিশুদের জন্য কোনো শিক্ষকও নেই সেখানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের উপকণ্ঠে শিশু পরিবারে প্রধান উপতত্ত্বাবধায়ক, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক, অফিস সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, শিক্ষক, বড় ভাইয়া (পরিচর্যাকারী), এলএলএসএসসহ ১৫টি পদে তিন থেকে চার বছর ধরে কেউ নেই। ১৫০ জন এতিম শিশুকে দেখাশোনার জন্য সেখানে শুধু একজন মেট্রন ও দুজন কারিগরি প্রশিক্ষক রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিশুর অভিযোগ, তাদের পড়াশোনা হয় না।
কারণ, এতিমখানায় কোনো শিক্ষক বা বড় ভাইয়া নেই। রান্না থেকে শুরু করে সব কাজই করতে হয় তাদের। কোনো সমস্যায় পড়লে নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করে।
মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সমাজসেবার বিভিন্ন কার্যালয় থেকে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের খণ্ডকালীন দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকট জেলা এবং উপজেলা কার্যালয়েও আছে। জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা, দুই শিশুপল্লির উপতত্ত্বাবধায়ক, সহতত্ত্বাবধায়ক, হাসপাতাল সমাজসেবা, রিসোর্স ট্রেনার, সংশোধন (প্রভিশনাল) কর্মকর্তা, অফিস সহকারী ও মাঠ সুপারভাইজার পদে চার থেকে পাঁচ বছর ধরে কেউ নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।