যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই
নিষ্ঠুর এই শহরের বিভৎস নিয়ন আলোয়
নির্জন এক রক্তের বানে ভাসা ঘরে
একটা পুরনো চেরাগের পাশে
লুকিয়ে থাকা এক জ্বীনের খোঁজে
একটি শিশু দাঁড়িয়ে আছে।
চোখে মুখে তার হাজারো প্রশ্ন
উত্তর দেবার কেউ নেই।
তাই আজ প্রদীপের জ্বীনকে
খুঁজে বের করতেই হবে।
কি দোষে, কোন অভিশাপে
আজ সে অসহায়, একা
তার পায়ের পাশে বাবা মায়ের
রক্ত বয়ে যায়, পড়ে আছে প্রাণহীন দুটো নির্জীব লাশ।
কি করবে সে? কাকে বলবে?
কেউ কি আছে যে সব প্রশ্নের উত্তর দিবে?
কেন তাকেই বহন করতে হলো
বাবা-মাকে হারানোর অসীম যন্ত্রণা
যেদিকে চোখ যায়
ধূ ধূ অন্ধকার দেখে সে।
অক্লান্ত ভাবে বারবার ঘষে চলে পুরোনো চেরাগটিকে
ওগো জাদুর চেরাগের জ্বীন একবার জাগো
একবার বলো কেন ?
সামনে আসতে হবে না,
ঐ চেরাগের ভেতরে লুকিয়ে
ফিসফিস করে একবার শুধু বলো,
আমাকে যারা এই পৃথিবীর
সবচেয়ে বড় অধিকার থেকে বঞ্চিত করলো
তারা কারা?
বাড়ি, গাড়ি, টাকা চাই না আমি
চাই না কোন দূর্লভ ভিডিও গেমস।
কোনদিন কোন খেলনা চাইবো আর
শুধু জানতে চাই এই পৃথিবীর আলো
সে মানুষ দুটোর কারনে সে দেখতে পেলাম
তাদের কেন পশুর মতো খুন করা হলো?
কেন আমার এই জীবনকে অনির্দেশ্যের
ঘুটঘুটে অন্ধকার কুপে ঠেলে দেয়া হলো?
কোন ভয়াল কালো থাবার গ্রাসে
কার একান্ত ব্যাক্তিগত স্বার্থের হিংস্র ছোবলে
আমি আজ মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারালাম?
ওগো জাদুর চেরাগের জ্বীন একবার জাগো
একবার বলো কেন ?
সামনে আসতে হবে না,
ঐ চেরাগের ভেতরে লুকিয়ে
ফিসফিস করে একবার শুধু বলো,
কে বা কারা? কেন, কেন, কেন?
ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।